ডেস্ক রিপোর্টঃ
শতকোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত দেশের একমাত্র ওয়াই আকৃতির ‘শেখ হাসিনা-তিতাস সেতু’ নির্মাণের দুবছরের মাথায় সৌন্দর্য্য কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে একদল ভূমিখেকোদের বিরুদ্ধে।
দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত দর্শনার্থীরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। স্থানীয়দের জোর দাবি ভূমিখেকোদের হাত থেকে সেতু পাড়ের দখলকৃত জমি উদ্ধার করে অবিলম্বে সৌন্দর্য্য ফিরিয়ে দেওয়ার।
বৃহত্তর কুমিল্লার বাঞ্ছারামপুর, হোমনা ও মুরাদনগর উপজেলার সংযোগ স্থলে নির্মিত ওয়াই আকৃতির শেখ হাসিনা-তিতাস সেতুটি ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে উক্ত সেতু উদ্বোধন করেন।
৭৭১ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৮.১০ মিটার প্রস্ত এ সেতুটি ৯৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এলজিইডির অর্থায়নে বাস্তবায়ন করেছে নাভানা বিল্ডার্স।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রীজের পূর্ব পাড়ের চরলহনীয়া নামক স্থানে তিতাস নদীর ভিতরে প্রায় ২ একর জায়গা জুড়ে বিশাল বাঁধ দিয়ে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে স্থাপনা তৈরির লক্ষে ভরাটের কাজ চলছে।
তার পাশেই রয়েছে দুটি কফি হাউজের স্থাপনা। যার ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে সৌন্দর্য্য হারাতে বসছে দেশের একমাত্র দৃষ্টিনন্দন ওয়াই সেতুটি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা বলেন, সেতুটি নির্মাণের পরে বাঞ্ছারামপুর, হোমনা ও মুরাদনগর উপজেলার প্রায় ১০ লাখ লোকের যাতায়াতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসছে।
যার ফলে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিষয়টিকে পূঁজি করে হোটেল-মোটেল নির্মাণের পাঁয়তারা করছে একটি প্রভাবশালী চক্র । তাদের গঠিত চক্রটি সফল হয়ে গেলে সেতুর আরো দুই পাশ বেদখল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উক্ত ঘটনায় অভিযুক্তদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা নদী দখলের সাথে জড়িত নয় বলে জানায়। কে দখল করছে এমন প্রশ্নে নাম বলতে আপত্তি জানিয়ে অভিযুক্তরা মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দিন সারোয়ারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে অবগত আছি, এ বিষয়টি এসিল্যান্ড কে জানানো হয়েছে, এখানে সরকারি জমি কতোটুকু আছে এবং কারা করছে সব কিছুই আমরা তদন্ত করবো।
ইউটিউবে ভিডিও সংবাদ দেখুন