কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোঃ রাশেদ খান হত্যা মামলায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শেষে বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিতকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তৃতীয় দফায় তিনদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে শেষদিন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।
সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সোমবার (৩১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নন্দদুলাল রক্ষিতকে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে আনা হয়। প্রায় চার ঘণ্টা জবানবন্দি গ্রহণ শেষে বিকেল সোয়া ৩টার দিকে তাকে জেলা কারাগারে নেয়া হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রোববার (৩০ আগস্ট) মামলার প্রধান আসামি ও বরখাস্ত পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত শুক্রবার তৃতীয় দফায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, এসআই লিয়াকত আলী, এএসআই নন্দদুলাল রক্ষিতের তৃতীয়বারের মতো তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার জন্য বরখাস্ত এএসআই নন্দদুলাল রক্ষিতকে সোমবার কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে আনা হয়।
২৬ আগস্ট আলোচিত এ মামলায় ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন মামলার অন্যতম আসামি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্য কনস্টেবল আব্দুল্লাহ, রাজীব ও এএসআই শাহজাহান। নন্দদুলালসহ এ মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়া আসামির সংখ্যা পাঁচজনে দাঁড়াল।
গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোঃ রাশেদ খান।
গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মোঃ রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। মামলায় এ পর্যন্ত সাত পুলিশ সদস্য, এপিবিএনের তিন সদস্য ও টেকনাফ পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।