কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত এপিবিএনের তিন সদস্যের ৭ দিনের রিমান্ড শুরু হয়েছে।
জেল সুপার মোহাম্মদ মোকাম্মেল হোসেন জানান, শনিবার (২২ আগস্ট) সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে এপিবিএনের তিন সদস্যকে এএসআই শাহজাহান, কনস্টেবল রাজীব ও আব্দুল্লাহকে র্যাব হেফাজতে নেয়া হয়। এরপর তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে রন্যাব কার্যালয়ে নেয়া হয়।
র্যাব জানায়, হত্যার ঘটনায় যারা সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলো তাদের সঙ্গে গ্রেপ্তার এপিবিএনের এই তিন সদস্যদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সিনহার হত্যার ঘটনার দিন এই তিনজনই এপিবিএনের চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এর আগে, গত ১৮ আগস্ট গ্রেপ্তারের পর এপিবিএনের এই তিন সদস্যের ৭ দিনের রিমান্ড আদেশ দেন আদালত।
এদিকে, যে পিস্তল দিয়ে সিনহাকে গুলি করা হয়েছে সেটি আজ র্যাব হেফাজতে দেয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার (২১ আগস্ট) সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ র্যাব এর পদস্থ কর্মকর্তারা প্রধান তিন আসামি বরখাস্ত পরিদর্শক লিয়াকত, ওস প্রদীপ কুমার দাশ ও নন্দদুলালকে নেয়া হয় হত্যার ঘটনাস্থল শামলাপুর চেকপোস্টে। সেখানে করা হয় ছোটখাট একটি ড্রিল। বোঝার চেষ্টা করা হয় কি ঘটেছিলো ৩১ জুলাই রাতে। সেখানে আসামিরা জানান, সেদিন কোন অবস্থানে ছিলেন। কিভাবে গাড়ি থেকে বের হন সিনহা। সঙ্গে গুলির ঘটনাও বিস্তারিত বর্ননা করেন তারা। ড্রিল শেষে তিনজনকেই নেয়া হয় ক্যাম্পে। অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ হত্যা মামলায় তিনজনই সোমবার থেকে র্যাব এর রিমান্ডে রয়েছেন।
র্যাব জানায়, সব মহুর্ত তদন্ত সংস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তাই প্রত্যেকটা সেকেন্ডকে বিশ্লেষণ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ। একে সরাসরি হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করছেন সিনহার স্বজনরা। সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেয়ার পর বিশ্ব ভ্রমণের পরিকল্পনা করছিলেন মেজর সিনহা রাশেদ। ভ্রমণ বিষয়ক একটি ইউটিউব চ্যানেল বানানোর কাজও চলছিলো তার। এরই অংশ হিসেবে সিনহা কক্সবাজারে ভিডিও তৈরির কাজে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার। পরে পুলিশ দাবি করে, আত্মরক্ষার্থেই গুলি করা হয়েছে রাশেদকে।