কুমিল্লার মুরাদনগরে রঙ্গীন স্বপ্নের ঠিকানা পেলেন ১১৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে অগ্রাধিকার আশ্রায়ন—২ প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত মুজিব বর্ষের তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ১১৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পেলেন জমিসহ স্বপ্নের ঠিকানা নতুন রঙ্গীন ঘর।
বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে এসব নতুন ঘর হস্তান্তর উদ্বোধন করেন।
উপজেলার কবি নজরুল মিলনায়তনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঘর উদ্বোধন শেষে পুনর্বাসিতব্য প্রত্যেক পরিবারকে ০২ শতক জমির মালিকানাসহ বিনামূল্যে নির্মিত ঘরের কবুলিয়ত সম্পাদন, নামজারী খতিয়ান ও হস্তান্তরিত ঘরের সনদপত্রসহ প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর তুলে দেন আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক, এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এফসিএ।
সহকারি পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফার সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আলাউদ্দিন ভূঁইয়া জনী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ নাজমুল হুদা, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিবল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এনামুল হক, কৃষি কর্মকর্তা পাবেল খাঁন পাপ্পু, বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী, মুরাদনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক আজিজুল বারী ইবনে জলিল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ—সভাপতি তারেক আবদুল্লাহ, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সরকার, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কাজী জিকরুর রহমান, শিক্ষা কর্মকর্তা ফওজিয়া আক্তার, ইউপি চেয়ারম্যান ভিপি জাকির হোসেন, কামাল উদ্দিন খন্দকার, সহকারী প্রোগ্রামার রাফীদ উদ্দিন খান, উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ ও উপকারভোগীগণ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আশ্রয়ন প্রকল্প—২ এর আওতায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় উপজেলার শ্রীকাইল ইউনিয়নের রোয়াচালা মৌজায় ১৩টি, রামচন্দ্রপুর দক্ষিন ইউনিয়নে কাছারীকান্দি মৌজায় ৩৬টি, কামল্লা ইউনিয়নের কামাল্লা মৌজায় ০৩টি, ধামঘর ইউনিয়নের পরমতলা মৌজায় ২০টি, জাহাপুর ইউনিয়নের কেওটগাঁও মৌজায় ২১টি, দারোরা ইউনিয়নের পুটিয়াজুরি মৌজায় ০৪টি, পাহাড়পুর ইউনিয়নের চরকখোলাতে ১৮টিসহ মোট ১১৫ টি ভূমিহীন পরিবারের জন্য দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। ঘরের সাথে সংযুক্ত রান্নাঘর, সামনে খোলা বারান্দা ও টয়লেট রয়েছে। অসহায় হতদরিদ্র ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলো এই রঙ্গীন ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা। এই স্বপ্নের ঠিকানায় যেতে পেরে তাদের চোখে—মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের ছাপ।