মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার মুরাদনগরে পতিতা ব্যবসায়ীসহ চারজন আটক হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার নিমাইকান্দি এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাদেরকে আটক করে, রবিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন পুলিশ।
পতিতা ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন উপজেলা সদরের দক্ষিণ পাড়ার ফরিদ মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, বিল্লাল উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের কর্মী ও পদ—প্রত্যাশি। তাই সে বিভিন্ন সময় মুরাদনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য সচিব আহসানুল আলম সরকার কিশোরের সাথে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়েন। এই ছবিকে পুজি করে বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে তদবিরের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য সচিব মোঃ সেলিম সরকার বলেন, পতিতা ব্যবসায়ী বিল্লাল স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেউ না। সে কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য সচিব আহসানুল আলম সরকার কিশোরের ছত্রছায়ায় এইসব অপকর্ম করছে। যা দলের ভাবমুর্তি ক্ষুন্য হচ্ছে। এদের লাগাম টেনে না ধরলে সংগঠনের বড় ধরনে ক্ষতি হবে।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক খাইরুল ইসলাম বলেন, বিল্লাল একা নয় তার সাথে আরো বেশ কয়েকজন আছেন, যারা কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য সচিব আহসানুল আলম সরকার কিশোরের মদদে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাদকসহ এ ধরনের অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। যার ফলে আমরা বিব্রত বোধ করছি।
কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য সচিব ও মুরাদনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম সরকার কিশোর বলেন, বিল্লাল স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেউ না। আমি যে হেতু জনপ্রিয় নেতা সেহেতু অনেক লোক আমার সাথে ছবি তুলতে পারে। আমি কেউকে আশ্রয় কিংবা প্রশ্রয় দেইনা।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মোঃ সাদেকুর রহমান বলেন, শনিবার বিকালে উপজেলার নিমাইকান্দি এলাকা থেকে বিল্লালসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। তারা পতিতা ব্যবসার সাথে জরিত থাকার সত্যতা স্বীকার করেছে। আটক দুই নারীর একজনের বাড়ি চান্দিনা উপজেলায় ও অপরজন মুরাদনগরের স্থায়ী বাসিন্দা। পতিতা ব্যবসায়ী বিল্লাল উপজেলা সদরের মুরাদনগর দক্ষিণ পাড়ার ফরিদ মিয়ার ছেলে। খদ্দর ওয়াসিম তিতাস উপজেলার আফজাল কান্দি গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে।