ডেস্ক রিপোর্টঃ
‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের কথা আমি স্মরণ করছি। বিশেষ করে আইভী রহমানের কথা। প্রত্যেক আন্দোলনে-সংগ্রামে মাঠে থাকতেন উনি। একদম মানুষের সঙ্গে এবং মিটিংয়ে আমাদের কর্মীদের সঙ্গে বসতেন। কোনও অহমিকা ছিল না। কিন্তু এতো সুন্দর একটা মানুষের এ রকম বীভৎস মৃত্যু, যেটা সত্যি সহ্য করা যায় না।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এভাবেই স্মরণ করলেন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভী রহমানকে। সোমবার (২৪ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকের শুরুতেই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত আইভী রহমানসহ ২২ নেতাকর্মীকে তিনি স্মরণ করেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বৈঠকে সংযুক্ত হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্রজীবন থেকেই আইভী রহমান রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমরা একসঙ্গে অনেক রাজনীতি করেছি। খুব আহত অবস্থায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় সিএমএইচে এবং ২৪ তারিখে তাকে মৃত ডিক্লেয়ার করে। আজ তার মৃত্যুদিবস পালন করি।’
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘নিহত ২২ জনের মধ্যে চার জন মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী। আর দুই জন অজ্ঞাতনামা ছিল। তাদের লাশও কেউ নিতে আসেনি। ধারণা করা হয়, এই অজ্ঞাতনামারা হয়তো আক্রমণকারী হতে পারে, কিছু জানি না! কিন্তু আমরা তখন আমাদের ২২ জন নেতাকর্মী হারিয়েছি। আরও প্রায় ছয়-সাতশ নেতাকর্মী আহত হয়। অনেকে চিকিৎসা করে সুস্থ হয়ে পরে আবার মারা গেছেন। শরীরের ভেতরে অনেক স্প্লিন্টার নিয়ে এখনও অনেকে বেঁচে আছেন।’
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমান গুরুতর আহত হন। চারদিন পর ২৪ আগস্ট সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিনি মারা যান। আইভী রহমান প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী।