অনলাইন ডেস্কঃ
ভাস্কর্য নিয়ে কথা না বলে মাদ্রাসায় শিশু ধর্ষণ নিয়ে সোচ্চার হতে হেফাজতসহ ধর্মভিত্তিক দলগুলোর প্রতি আহবান জানিয়েছেন রাজনীতি বিশ্লেষক ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
আর ধর্মীয় নেতাদের প্রতি গণফোরাম নেতা মোস্তফা মোহসীন মন্টুর আহবান সহনশীলতার বার্তা ছড়িয়ে দেয়ার। তবে,গণসংহতি আন্দোলনের সভাপতি জোনায়েদ সাকির মতে, ভাস্কর্য ইস্যুতে আড়ালে যাচ্ছে গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন।
রাজধানীর ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধীতা করছে হেফাজত ইসলাম কয়েক নেতাসহ ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দল।
বিএনপি বা তাদের জোটে থাকা ২০ দলের কেউই কথা বলছেন না। ভাস্কর্যের বিরোধীতার পেছনে ধর্ম নয় বরং অন্য কোন উদ্দেশ্য আছে কীনা তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে মত মুক্তিযোদ্ধা ও গণফোরাম নেতা মোস্তফা মহসীন মন্টুর। তিনি বলেন,’ইসলামে আরও ভালো জিনিস আছে, উদারতার কথা, শান্তির কথা, গণতন্ত্রের কথা। এসব দিকে আমরা দুষ্টি দিতে পারি। আন্দোলন যদি এমন একটা ইস্যু নিয়ে সৃষ্টি হয়, যেটা আজকের দিনে গ্রহণযোগ্যতা রাখে না। একটা সংঘাতের সৃষ্টি কার হচ্ছে। এটা কোথা থেকে, কিভাবে হচ্ছে এবং কারা করছে এটি আসলে খুঁজে বের করা দরকার।’
আর ধর্মীয় নেতাদের প্রতি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর আহবান আগে নিজেদের ভুল শোধরানোর। রাজনীতি বিশ্লেষক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন,’আলেমগণ আমাদের শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি তাদেরকে এই সব বিতর্কে জড়ানো উচিত না। আজকে মাদ্রাসার লোকেরা কেন বলাৎকারে জড়িত? এ থেকে কিভাবে জাতিকে রক্ষা করা যায়, সে ব্যাপারে হেদায়েত করা উচিত।’
কোন জোটে না থাকলেও গণ সংহতি আন্দোলনের নেতা জোনায়েদ সাকি সব সময় সোচ্চার সরকারের বিরুদ্ধে। কারো বিশ্বাসেই আঘাত দেয়ার পক্ষে নন তিনি।
গণসংহতি আন্দোলন সভাপতি জোনায়েদ সাকি জানান,’যিনি মনে করেন যে, ভাস্কর্য মানেই মূর্তি তিনি সেদিকে যাবেন না। আর যদি ভাস্কর্যকে শিল্প ভাবছেন তারও তো স্বাধীনতা আছে, সেই স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার অধিকার তো তার নেই। ফলে এই জবরদস্তির জায়গা তো এখানে নেই। কে কিভাবে কি করছে সেটা জানিনা। তবে এই ইস্যু সরকারের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন সেটাকে অনেকটাই আড়াল করছে।’
সংবাদঃ ডিবিসি