ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ
সোমবার (২০ জুলাই) ভোররাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চাঁনপুরবাজার এলাকায় পুলিশ হত্যার প্রধান আসামির সাথে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে বলে জানায় র্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা।
র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সহকারি পরিচালক চন্দন দেবনাথ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় কর্মরত এএসআই আমির হোসেনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা মামলার প্রধান আসামি চাঁনপুর গ্রামের মুছা মিয়ার ছেলে মামুনকে ধরতে র্যাবের একটি দল চাঁনপুর বাজারে যায়। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মামুন ও তাঁর সহযোগিরা গুলি চালায়। এসময় আত্মরক্ষার্থে র্যাবের সদস্যরা পাল্টা গুলি চালালে আসামি মামুন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাঁকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ও একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১৭ জুলাই) বিকেল সোয়া পাঁচটার সময় পাঘাচং বাজারে ডাকাতির প্রস্তুতি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি মামুন কে গ্রেপ্তারের করার সময় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে আসামি মামুন ছুরি দিয়ে পুলিশের এএসআই আমির হোসেনের বুকের বামপাশে ও মাঝখানে আঘাত করে। এতে এএসআই আমির হোসেন মাটিয়ে লুটিয়ে পরলে তাঁর সহকর্মী মণি শঙ্করসহ স্থানীয়রা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে সদর থানায় পাঁচজন কে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় মামুনের ছোট ভাই ইসমাইল মিয়াসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।