বিজ্ঞপ্তি:
"কুমিল্লা টাইমস টিভিতে" আপনার প্রতিষ্ঠান অথবা নির্বাচনী প্রচারনার জন্য এখনি যোগাযোগ করুন : ০১৬২২৩৮৮৫৪০ এই নম্বরে
শিরোনাম:
কুমিল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের কমিটি গঠন- রাসেল সভাপতি, সৌরভ সাধারণ সম্পাদক পুটি মাছ কাটা নিয়ে দ্বন্দ্ব; স্ত্রীকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ স্বামীর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৮ দেবিদ্বারে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত পরিক্ষার হলে নকল দেয়ায় যুবকের কারাদণ্ড কুমিল্লায় নারী ইউপি সদস্য ও তার ছেলে ইয়াবাসহ আটক সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের বিরুদ্ধে অপ প্রচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কুমিল্লার নবগঠিত মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের দোয়া ও ইফতার মাহফিল ফিলিস্তিনে ইসরাইলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে মুরাদনগরে হেফাজতের বিক্ষোভ যুব ও ক্রীড়া বিভাগ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বাঙ্গরায় ধর্ষকের মৃত্যুদন্ড জনসম্মুখে কার্যকরের দাবীতে বিক্ষোভ মাদ্রাসা ছাত্রদের ইফতার করালেন প্রবাসী আমিনুল মুরাদনগরে রাতের অন্ধকারে চলে মাটি কাটার মহোৎসব কায়কোবাদের পক্ষ থেকে শ্রীকাইলে যানবাহন শ্রমিক ও পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ বাহার কন্যা সূচির জমি-ফ্ল্যাটসহ ৩ কোটি টাকা অবরুদ্ধের আদেশ

বিচার না পেয়ে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর আত্মহত্যা

  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৫০২ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ধর্ষণের শিকার এক গৃহবধূ বিচার না পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ধর্ষণের শিকার এক গৃহবধূ বিচার না পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

ডেস্ক রিপোর্টঃ

বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে গোদাগাড়ীর কাঁকনহাটের ঘিয়াপুকুর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ স্থানীয় কাউন্সিলরসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার (সেপ্টেম্বর) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন: কাঁকনহাট পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লুৎফর রহমান বিশু, আকবর আলী, মেরাজুল ইসলাম। প্রত্যেকের বাড়ি ঘিয়াপুকুর মহল্লায়। তবে অভিযুক্ত মূল ধর্ষক মফিজুল ইসলামকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। মফিজুলের বাবার নাম আতাউর রহমান।

নিহত গৃহবধূর নাম সখিনা বেগম (৩৫)। তার বাড়ি জেলার গোদাগাড়ীর কাঁকনহাট পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের ঘিয়াপুকুর মহল্লায়। তার স্বামীর নাম কামাল হোসেন। কামাল চাকরির সুবাদে চট্টগ্রামে থাকেন।

পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাতে মফিজুল ইসলাম দুই সন্তানের মা সখিনা বেগমের ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন। এসময় ওই গৃহবধূর চিৎকারে প্রতিবেশী আকবর আলী ও মেরাজুল ইসলাম ধর্ষক মফিজুলকে ধরে কাউন্সিলর লুৎফর রহমান বিশুর কাছে নিয়ে যান। কিন্তু কাউন্সিলরসহ সবাই মিলে রাতেই মফিজুলকে ছেড়ে দেন। এরপর ক্ষোভে রাতেই ওই গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

গোদাগাড়ী থানার ওসি খাইরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে তদন্তে আমরা ধর্ষণের সত্যতা পেয়েছি। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত ও ধর্ষণ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিলো। আলামত সংগ্রহ করে তার মরদেহ পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, পুলিশকে না জানিয়ে ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয়ার কারণে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। সে কারণে পৌর কাউন্সিলরসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আপাতত তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণ ও তার আত্মহত্যা প্ররোচনার ঘটনায় থানায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় কারাগারে পাঠানো তিনজনসহ মোট চারজনকে আসামি করা হয়েছে। প্রধান আসামি হয়েছেন ধর্ষণে অভিযুক্ত মফিজুলকে। তিনি পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।


কুমিল্লা টাইমস’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।


সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

বিজ্ঞাপন

সকল স্বত্বঃ কুমিল্লা টাইমস কতৃক সংরক্ষিত

Site Customized By NewsTech.Com