বাঞ্ছারামপুর প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্চারামপুরে সৌদি প্রবাসী কামাল মিয়ার দুই সন্তানকে নির্মম ভাবে জবাই করে হত্যার ঘটনায় পলাতক মামা বাদল মিয়াকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটকের পর পুলিশের কাছে সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
বুধবার (২৬ আগস্ট) ভোরে ঢাকা সবুজবাগ এলাকা থেকে তাকে আটক করে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা পুলিশ। ঘাতক ভাইয়ের ফাঁসি চেয়েছে বোন হাসিনা আক্তার।
পুলিশ শুত্রে জানাযায়, বাদল বাহরাইন থাকার সময় দোকান করার জন্য তার বোনজামাই কামাল উদ্দিনের কাছ থেকে ১৩ লাখ টাকা ধার নেয়, এরমধ্যে ৩ লাখ টাকা ফেরত দেয়।
বাকি ১০ লাখ টাকা ফেরত না দেয়ায় দুলাভাইয়ের সাথে তার মনোমালিন্য চলছিল, সপ্তাহ খানেক আগে বাদলকে এ ব্যাপারে থাপ্পড় মারেন দুলাভাই কামাল উদ্দিন।
এ বিষয়েই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন বাদল।
গত ২৪ আগস্ট সোমবার ভাগ্নে কামরুল তার কক্ষে গেলে বাদল দরজা বন্ধ করে জোরে সাউন্ড স্পিকার বাজিয়ে কামরুলের হাত-পা বেঁধে ফেলে, পরে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে ভাগ্নে কামরুল কে, তারপর মর দেহ খাটের নিচে ফেলে দেয়।
পরে ভাগ্নি শিফা ঘর ঝাড়ু দিতে গিয়ে ভাইয়ের লাশ খাটের নিচে দেখতে পেয়েযায় বলে, ভাগনি শিফার উপরেও চড়াও হয় বাদল। সীফাকে মারতে মারতে বাথরুমে নিয়ে নির্মম ভাবে জবাই করে হত্যা করে। এরপর বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় বাদল।
বাদল কুমিল্লার হোমনা উপজেলার খুদা-দাউদ পুর গ্রামের মৃত আবদুর রবের ছেলে। বাহারাইন থেকে লকডাউন এর আগে দেশে ফেরে বাদল, হোমনায় একটি মামলার আসামি হয়ে গত ১৫ দিন আগে বাঞ্ছারামপুরের সাহেবনগর এর বোনের বাড়িতে আশ্রয় নেয় বাদল।
সলিমাবাদ ইউনিয়নের সাহেব নগর গ্রামের নিজের ভবনের খাটের নিচ থেকে আক্তার ও কামরুল হাসানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শিফা বাঞ্চারামপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ও কামরুল সলিমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
ছেলে ও মেয়েকে হত্যার ঘটনায় বাদল কে আসামী করে বুধবার হত্যা মামলা দায়ের করেছেন হাসিনা আক্তার।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন- এটি খুবই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড, দুই ভাগ্নে ভাগ্নি কে নির্মমভাবে গলাকেটে হত্যা করে ঘাতক এই মামা।