নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নবীনগর শাখার সাধারণ সম্পাদক ও কালিবাড়ী পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শ্রী সীতানাথ সুত্রধরের বিরুদ্ধে ত্রানের তালিকায় অনিয়ম ও স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ এনে দৈনিক কালের কন্ঠে প্রকাশিত সংবাদ ও ফেসবুকে মানহানিকর পোস্ট দেওয়ার প্রতিবাদ ও কালের কন্ঠের নবীনগর প্রতিনিধি গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপুর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে নবীনগর কেন্দ্রীয় কালীবাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করছেন সীতানাথ সূত্রধর।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সীতানাথ সূত্রধর বলেন, করোনা কালীন সময়ে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ ঢাকা থেকে নির্দেশনা মোতাবেক সনাতন ধর্মাবলম্বী ২১০ জনের পাঠানো তালিকায় অংঙ্গতি, সভাপতির স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ এনে গত ২২ জুলাই কালের কন্ঠে প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। কালের কন্ঠের নবীনগর প্রতিনিধি গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপুর সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে আগে থেকেই আমার মতবিরোধ চলছিল। সমাজে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই উদেশ্যমূলক এরকম একটি রিপোর্ট করেছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অশালিন ভাষায় একের পর এক পোস্ট দিয়ে আমার ও আমার পরিবারের সম্মানহানী করে যাচ্ছে। অপু আমার কাছে দশ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে চাঁদা না দেওয়ায় আমার বিরুদ্ধে এই রিপোর্টটি করেছে। সে একজন বির্তকিত ব্যক্তি। এ সব ঘটনায় আমি অপুর বিরুদ্বে থানায় একটি সাধারণ ডাইয়েরী করেছি।
তিনি আরো বলেন, সভাপতি অসুস্থ থাকায় তার ছোটভাই হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের দপ্তর সম্পাদক সুদীপবাবুল সভাপতির অনুমতি সাপেক্ষে নমুনা স্বাক্ষর দিয়েছেন। আর রিপোর্টে বলা হয়েছে আমি নাকি সভাপতির স্বাক্ষর জাল করেছি। এই তালিকা তৈরির সময় আমি নিজে অসুস্থ ছিলাম,এখানে আমি সম্পৃক্ত নই।
বুধবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হওয়া ওই সংবাদ সম্মেলনের শেষ দিকে উপস্থিত হয়ে অভিযুক্ত গৌরাঙ্গ দেব নাথ অপু নিজেকে সংবাদ কর্মী দাবী সীতানাথকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। প্রশ্নের জবাব না দিয়ে অপুর সামনেই একের পর পর এক অভিযোগ উত্থাপন করেন সীতানাথ। তখন কয়েকজন সংবাদ কর্মী অপুকে বলেন, দাদা আপনার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন, আর আর আপনি উনাকে প্রশ্ন করছেন? ্ওটা মনে হয় ঠিক হচ্ছেনা। নিউজ করার সময় আপনার বক্তব্য নেওয়া হবে। তখন তিনি বসে যায়।
সংবাদ সম্মেলন চলাকালিন সময়ে মন্দিরে পুলিশ মোতায়েন ছিলো। এ ব্যাপারে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের দপ্তর সম্পাদক সুদীপবাবুল বলেন,কমিটির সভাপতি এডভোকেট সুনিল দেব আমার ভাই,আমি তার সঙ্গে কথা বলে এই লিস্ট তৈরি করে নমুনা স্বাক্ষর দিয়েছি। কমিটির সভাপতির মেয়ে এডভোকেট জয়া রায় বলেন, আমার বাবার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে এ নিয়ে মিডিয়াতে আমি কোন বক্তব্য দেয়নি। যারা আমার নাম দিয়ে মিডিয়াতে এ সব বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার করছে তাদের বিরুদ্ধে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।
এ বিষয়ে কালের কণ্ঠের নবীনগর প্রতিনিধি গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু বলেন,সীতানাথ বাবু যে সব অভিযোগ করেছেন এ গুলো শুধু মিথ্যা ও ভিত্তিহীন ও কাল্পনিকই নয় এ গুলো রিতিমতো মানহানিকর, এ সমস্ত মানহানিকর বক্তব্যর জন্য আমি তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব। আর উনি যদি আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমাণ করতে পারে যে বিচার নাই সে বিচার আমি প্রস্তুত আছি।
এ ব্যাপারে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ(তদন্ত) রুহুল আমীন বলেন, অভিযোগ আমারা পেয়েছি,বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।