ডেস্ক রিপোর্টঃ
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চট্টগ্রামে দুদকের মামলায় টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আগামী ২০শে সেপ্টেম্বর এ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছে আদালত।
দুপুরে প্রদীপের উপস্থিতিতে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন বিচারক। এর আগে, এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে গত শনিবার সিনহা হত্যা মামলার অন্যতম আসামি প্রদীপকে বিশেষ নিরাপত্তায় কক্সবাজার কারাগার থেকে চট্টগ্রাম কারাগারে নেয়া হয়।
৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ২৩শে আগস্ট প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকি বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন। মামলায় অপর আসামি প্রদীপের স্ত্রী পলাতক। তার বিদেশযাত্রা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সদর দপ্তরকে চিঠি পাঠিয়েছে দুদক।
ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরকারী দুদক চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন জানান, ২০১৮ সালে প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের অবৈধ সম্পদ অর্জনের তদন্ত শুরু করে দুদক। ২০১৯ সালের ৯ই এপ্রিল তাদের সম্পদের হিসাব জমা দিতে বলা হলেও চুমকি তা জমা দেন ২০১৯ সালের ১২ই মে।
দুদকের দায়ের করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ওসি প্রদীপের স্ত্রী চুমকি পেশায় একজন গৃহিণী। তিনি কোথাও চাকরি করেন না। ২০১৩ সালের ১লা আগস্ট দানপত্র দলিল মূলে নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন পাথরঘাটা এলাকায় জমিসহ একটি ছয়তলা বাড়ি তার পিতার কাছ থেকে পেয়েছেন।
শ্বশুরের কাছ থেকে প্রদীপের স্ত্রীর উপহার পাওয়া বাড়ি নিয়ে দুদকের তদন্তে দেখা যায়, চুমকিকে তার পিতা একটি বাড়ি দানপত্র করে দিলেও তার অন্য দুই ভাই ও এক বোনকে কোনো বাড়ি দানপত্র করেননি।
এতে প্রতীয়মান হয়, ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ‘ঘুষ ও দুর্নীতি’র মাধ্যমে অর্জিত আয় গোপন করার উদ্দেশ্যে স্থানান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে তার শ্বশুরের নামে ওই বাড়ি নির্মাণ করে রূপান্তরপূর্বক পরে চুমকির নামে দানপত্র করে নিয়ে প্রদীপ দাশ ভোগদখল করছেন। সংবাদঃ ডিবিসি