ইমতিয়াজ সিদ্দিকী তোহাঃ
চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় এ পর্যন্ত ২৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। রোগীদের আইসোলেশন ও হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে । এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তারা।
জেলার অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় করোনা ভাইরাসের মহামারির আশঙ্কা রয়েছে । তাছাড়া শাহরাস্তির বাজারগুলোতে লকডাউনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত জনগণ সামাজিক দূরত্ব মেনে না চলায় করোনার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। শাহরাস্তির জনগণ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কাজে চাঁদপুর ও কুমিল্লা শহরে যাতায়াত করে থাকে। বাংলাদেশে রেডজোন ও ঝুঁকিপূর্ণ জেলা গুলোর মধ্যে অন্যতম চাঁদপুর ও কুমিল্লা ।
এরই মধ্যে উপজেলার ২৩ জন নারী-পুরুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃতবরণ করেছে ২জন। এতো ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও সাধারণ জনগণ সরকার এবং উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে ঘরে না থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে রাস্তা-ঘাটে, হাট-বাজারে অবাদে চলাচল করছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও তা উপেক্ষা করছে জনসাধারণ। ফলে জেলার শাহরাস্তিতে ছরিয়ে পরছে মহামারী করোনা।
সরজমিনে উপজেলার ঠাকুরবাজার,কালি বাড়ি, ওয়ারুক বাজার, হোসেনপুর বাজার, কাঁকৈরতলা বাজার,শোরশাক বাজার, সূচীপাড়া বাজার,আয়নাতলী বাজার, চিতোষি বাজার, খিলা বাজার, দেবকরা বাজার, নরিংপুর বাজার ও ফেরুয়া বাজান পরিদর্শন করে দেখা যায়, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব না মেনে জনসমাগম থাকে।
এদিকে প্রতিদিনই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার এবং শাহরাস্তি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহআলম বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জনগণকে ঘরে থাকার অনুরোধ করেন। উপজেলাতে যারাই করোনাভাইরাসে আক্তান্ত হয়েছে তাকে এবং তাদের পরিবারের সদস্যকে সামাজিকভাবে অবহেলিত না করে তাদের সহযোগিতা করাসহ তাদের সাথে মানবিক আচরণ করারও অনুরোধ করেন।
প্রসঙ্গত, গত ০৮ জুন সোমবার চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় এবং শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে শাহরাস্তি উপজেলার বিভিন্ন বাজারে সরকারি আদেশ অমান্য করায়, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখা, মুখে মাস্ক না থাকা এবং মোটরসাইকেল চালানোর সময় হেলমেট ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় শাহরাস্তি থানা পুলিশের সহযোগী তায় ২১ জনকে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।