অনলাইন ডেস্কঃ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায় স্থানীয় একটি ছিনতাইকারী চক্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের পুনিয়াউট কাশবনে বেড়াতে আসা একটি মেয়েকে জোর করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করছে। পাশপাশি টাকা পয়সাসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র হাতিয়ে নিচ্ছে।
বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। বিষয়টি তাৎক্ষনিক নজরে আসে জেলা পুলিশের। ছিনতাইকারী চক্রটি ধরতে মাঠে নেমেছে পুলিশের একাধিক টিম।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সদর মডেল থানা পুলিশকে বলা হয়েছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিও পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুনিয়াউট এলাকার কাশবনে ঘুরতে আসে এক তরুণী। এসময় ছিনতাইকারীর হাতে নির্যাতনের স্বীকার হন তিনি। সেখানে তরুণীটিকে ৩/৪ জন ছেলে উত্ত্যক্ত করছে। ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে টাকা নিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় তরুণীটি তাদের পায়ে ধরে বড় ভাই ডেকে কাকুতি মিনতি করছে। কিন্তু তারা মেয়েটির বোরকা খোলার চেষ্টা করছে। এরমধ্য থেকে এক যুবক তরুণীটিকে চুমু খেয়ে গালিগালাজ করছে।
অভিযুক্ত চক্রটি প্রধানের প্রাথমিক তথ্য পেয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশ। দক্ষিণ পৈরতলার (আলগা বাড়ি) ধন মিয়ার ছেলে রাহিম। পেশায় রাহিম মোবাইল ফোন কোম্পানির সিম বিক্রেতা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রাহিমের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার বাবা ধন মিয়া জানান, আমার ছেলে নিয়মিত দোকান চালায় করে। এই ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।
ঘটনাটির সমালোচনা আর প্রতিবাদে ঝড় উঠেছে চারদিকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য বলেন, স্বাধীনভাবে ভ্রমণ করার সবারই অধিকার আছে। সে পুরষ কিংবা নারী যেই হোক। আমরা এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাই ও দোষীদের আইনের আওতায় আনতে দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহিম জানান, ব্যাপারটি পরিদর্শক (অপারেশন) ইশতিয়াক আহম্মেদ দেখছেন। পুরো চক্রটিকে গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান চলছে। সংবাদঃ ডিবিসি