মোঃ ছিদ্দিক, ভোলা প্রতিনিধিঃ
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ঘরে ঘরে জ্বরে আক্রান্ত রোগী। ডাক্তারদের মতে বয়স্কদের তুলনায় শিশুর সংখ্যাই বেশি। চলতি সপ্তাহে ২ জন ডাক্তারের কাছে আগত রোগীর ৮০ ভাগই জ্বরে আক্রান্ত ছিল এমন বক্তব্য তাদের। জ্বর, কাশি,সর্দি, প্রচন্ড ব্যাথা উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীর সংখ্যাই বেশি। করোনা কিংবা জ্বরের উপসর্গগুলো প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় শঙ্কিত ডাক্তার, রোগি ও স্বজনরা। করোনা টেস্ট শিশুদের জন্য একটু কঠিন বিধায় সমস্যা তাদের বেশি।তবে ডাক্তার ইরফান পারভীন এর মতে,এ সব শিশুদের রক্তের ” সিবিসি” টেস্ট করে সহজ উপায়ে চিকিৎসা দেওয়া উচিত।
বোরহানউদ্দিন সেবা মেডিকেল হলে গিয়ে কথা হয় শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ইরফান পারভীন ( ইলোরা) এর সাথে। তিনি বলেন, ঘরে ঘরে জ্বর। চলতি সপ্তাহে তার কাছে আসা রোগীদের ৯০ শতাংশ ছিল জ্বরে আক্রান্ত। নবজাতক থেকে ৮ বছর বয়সীরা জ্বর, কাশি,সর্দি, তীব্র গায়ে ব্যাথা উপসর্গ নিয়ে আসেন।তিনি বলেন করোনা পরিস্থিতিে শঙ্কিত আর সতর্ক তো থাকতেই হয়।তিনি বলেন শিশুদের বেলায় আমরাসিবিসি টেস্ট করলে ভালো হয়।রক্তে ইনফেকশন ব্যাকটেরিয়া না ভাইরাস জনিত তার চিহ্নিত হলে চিকিৎসায় সুবিধা হয়।তিনি এ ধরনের পরিস্থিতিতে ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতিরেকে এন্টিবায়োটিক ঔষধ পরিবারের আহবান জানান।
বড়মানিকা ইউনিয়নের আলিমুদ্দিন বাংলাবাজার এলাকা থেকে আসা রোগীর মা আখি বেগম জানান,তার বাচ্চা সুমাইয়া আজ ৬ দিন পর্যন্ত জ্বরে আক্রান্ত। তিন জানায়,বাসার সবাই জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিল।তিনি আরও জানান,তার বাড়িতে অধিকাংশ লোক আক্রান্ত।
বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের হকার কামাল হোসেন জানান,তিনি সহ পরিবারের সবাই জ্বরে আক্রান্ত। একদিকে শরীর ব্যাথা অন্যদিকে কাশতে কাশতে কুঁজো হয়ে যাওয়ার অবস্থা।
২ নং ওয়ার্ডের কলেজ ছাত্র আসাদুজ্জামান জানান,তার বাবা আক্রান্ত হওয়ার কয়েকদিন পর মা আক্রান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বার ৭ বছর বয়সী ছোট বোন রাহা আবার আক্রান্ত হয়েছে।
ডাক্তার মশিউর রহমান সাদী জানান,তার কাছে আসা ৭০ ভাগ রোগী জ্বরে আক্রান্ত। করোনা পরিস্থিতি আগের মতোই উল্লেখ করে বলেন,ডাক্তার হিসেবে তো রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিতেই হবে।তবে এ সমস্ত রোগীর ব্যাপারে বাড়তি সতর্ক থাকা উচিত। খুব বেশি আক্রান্ত না হলে ঘরে থেকেই চিকিৎসা নেওয়া উচিত। বেশিদিন কাশি থাকলে করোনা টেস্ট করানো উচিত।
বোরহানউদ্দিন হাসপাতালের আরএমও( ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ মশিউর রহমান সাদী বলেন,জ্বরের ক্ষেত্রে কোন অবস্থাতেই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক সেবন না করার অনুরোধ জানান।ভিটামিন সি ও তরল জাতীয় খাবার গ্রহন ও মাস্ক ব্যবহারের অনুরোধ জানান।