বিজ্ঞপ্তি:
"কুমিল্লা টাইমস টিভিতে" আপনার প্রতিষ্ঠান অথবা নির্বাচনী প্রচারনার জন্য এখনি যোগাযোগ করুন : ০১৬২২৩৮৮৫৪০ এই নম্বরে
শিরোনাম:
কুমিল্লার নবগঠিত মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের দোয়া ও ইফতার মাহফিল ফিলিস্তিনে ইসরাইলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে মুরাদনগরে হেফাজতের বিক্ষোভ যুব ও ক্রীড়া বিভাগ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বাঙ্গরায় ধর্ষকের মৃত্যুদন্ড জনসম্মুখে কার্যকরের দাবীতে বিক্ষোভ মাদ্রাসা ছাত্রদের ইফতার করালেন প্রবাসী আমিনুল মুরাদনগরে রাতের অন্ধকারে চলে মাটি কাটার মহোৎসব কায়কোবাদের পক্ষ থেকে শ্রীকাইলে যানবাহন শ্রমিক ও পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ বাহার কন্যা সূচির জমি-ফ্ল্যাটসহ ৩ কোটি টাকা অবরুদ্ধের আদেশ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শাহিদা রফিক আর নেই মুরাদনগরে বাবার হাতে শিশুপুত্র খুন নাঙ্গলকোটে প্রতিবাদ মিছিলে হামলা, আহত ১০ কুমিল্লায় রাতের আঁধারে ভেঙে ফেলা হলো শহীদ মিনার মুরাদনগরে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ মুরাদনগরে আ.লীগ ও যুবলীগের দুই নেতা প্রেপ্তার মুরাদনগরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার

গরু চুরির অভিযোগে মা-মেয়েকে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন

  • আপডেটের সময় : রবিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২০
  • ৬২৩ বার পড়া হয়েছে
গরু চুরির অভিযোগে মা-মেয়েকে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন
গরু চুরির অভিযোগে মা-মেয়েকে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন

কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ

কক্সবাজারের চকরিয়ায় মা-মেয়েকে ‘গরু চোর’ আখ্যা দিয়ে নির্মমভাবে পিটানো হয়েছে। পরে কোমরে রশি বেঁধে তাদেরকে প্রকাশ্য হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে। সেখানে চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম নিজে আবার তাদের মারধর করেন। একপর্যায়ে তাদের শারীরিক অবস্থার গুরুতর অবনতি হলে পুলিশ এসে মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে চকরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে।

চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম

শুক্রবার (২১ আগস্ট) দুপুরে চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের পহরচাঁদা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনার ছবি প্রকাশের পর শনিবার বিষয়টি জানাজানি হয়।
মা ও মেয়ে চকরিয়া হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ বিষয়ে চকরিয়া থানার হারবাং তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার স্থানীয়রা ফাঁড়িতে খবর দিলে আমরা ফোর্স পাঠাই। আমাদের ফোর্স গিয়ে গুরুতর অবস্থায় মা-মেয়েকে উদ্ধার করে আমাদের হেফাজতে নিয়ে আসে। আমরা তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় এক ব্যক্তির দায়ের করা গরু চুরির মামলায় তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে।

হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামের নেতৃত্বে তাদের উপর নির্যাতন হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এমন অভিযোগ ওদের কেউ করেনি। আমাদের ফোর্স যখন ঘটনাস্থলে যায় তখন সেখানে প্রায় দুই শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে তাদেরকে আমাদের হেফাজতে নিয়ে আসাটাই প্রাধান্য দিয়েছি। আর ভুক্তভোগী কিংবা অন্য কেউ যদি অভিযোগ করে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

তবে ঘটনার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, একদফা মা-মেয়ের ওপর নির্যাতন চলার পর হারবাং ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম চৌকিদার (গ্রাম পুলিশ) পাঠিয়ে তাদেরকে রশিতে বেঁধে তার কার্যালয়ে এনে আবার নির্মমভাবে নির্যাতন করেন। নির্যাতন শেষে চেয়ারম্যানের লোকেরাই তদন্তকেন্দ্রে ফোন করে পুলিশ এনে মা-মেয়েকে মুমূর্ষু অবস্থায় তুলে দেন।

হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তার মুঠোফোনে বন্ধ পাওয়া যায়।


কুমিল্লা টাইমস’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।


সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

বিজ্ঞাপন

সকল স্বত্বঃ কুমিল্লা টাইমস কতৃক সংরক্ষিত

Site Customized By NewsTech.Com