হোমনা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার হোমনায় ‘রাজাকার’ সম্বোধন নিয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হয়েছে অন্তত ছয়জন। একজনকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় হোমনা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল কাদির প্রধানকে রাজাকার বলায় পরবর্তীতে তার ছেলে পৌর কাউন্সিলর কামাল হোসেন তাদের ডেকে নিয়ে জানতে চাইলে মারামারির এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদি হাসান মিরাজ, আবদুল কাদির প্রধান, পৌর কমিশনার কামাল হোসেন, আজিজুল, নয়ন ও মোন্নাফ। এদের মধ্যে পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদি হাসান মিরাজকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
এই ঘটনায় যুবলীগ নেতা মেছবাহ উদ্দিনসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে কাউন্সিলরের ছেলে মো. কামরুল হাসান বুধবার রাতে হোমনা থানায় একটি মামলা করেন।
পৌর কাউন্সিলর কামাল হোসেন বলেন, মোন্নাফ এবং মাসুম বুধবার বিকেলে আমার বাবা ৬ নং পৌর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল কাদির প্রধানকে রাজাকার বলেছে। কেন তারা এমনটি বলল তা জানতেই তাদেরকে আমার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ অফিসে ডাকি। তারা এলে প্রথমে কথাকাটি ও পরে উত্তেজিত হয়ে হামলা চালিয়ে অফিস ভাঙচুর করেছে। তাদের হামলায় আমার বাবা, ছেলে, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদি হাসান মিরাজসহ অন্যরা আহত হয়েছে।
যুবলীগ নেতা মেছবাহ উদ্দিন বলেন, কৃষকলীগ করে আমার এক সমর্থককে পৌর কাউন্সিলরের ছেলেরা মারধর করেছে। এলাকায় তারা (কাউন্সিলর) এক অরাজকতা সৃষ্টি করে রেখেছে। শুনেছি এ ঘটনায় আমার নামেও নাকি মামলা করেছে; আমি কাউকে মারধর করিনি।
এ বিষয়ে হোমনা থানার ওসি আবুল কায়েস আকন্দ বলেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতিকে রাজাকার বলায় দুইপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শ করেছে। তিনজনকে আটক করা হয়েছে।