ডেস্ক রিপোর্টঃ
চার মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর, ঈদুল আজহার পরে বাংলাদেশের আদালতগুলো পুনরায় খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, আমরা এই ধারণায় উপনীত হয়েছি যে আমাদের করোনাভাইরাস ”কোভিড-১৯’ এর সাথে বসবাস করতে হবে।
সেজন্য আমি যতটুকু জানি, মাননীয় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আমার শেষ যে আলাপ হয়েছে, সেটা হচ্ছে ঈদের পরে স্বাভাবিক আদালতগুলো (নিম্ন আদালত) খুলে দেয়া হবে। তবে ফৌজদারি মামলার বিচারিক কাজে বা সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়ায় কিছু বাধ্যবাধকতা থাকতে পারে বলে তিনি জানান। কিন্তু দেওয়ানি মামলায় সেটা নাও থাকতে পারে।
আইনমন্ত্রী বলছেন, এর কারণ হচ্ছে, যেসব আসামী কারাগারে আছেন, এখন পর্যন্ত আমাদের কারাগারগুলোয় কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হয় নাই এবং আমরা সেই অবস্থায় রাখতে চাই। আদালতের সেই কাজটা কীভাবে করবো আইনের কী পরিবর্তন লাগবে সেদিকে আমরা এগিয়ে যাবো। কিন্তু অন্যান্য কাজের সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে সাধারণ আদালতের যেভাবে কাজ হচ্ছিল সেই ভাবেই হবে। সেটা ঈদের পরেপরেই খুলে দেয়া হবে। হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্ট কবে খুলবে বা কীভাবে চলবে সেই ব্যাপারে প্রধান বিচারপতি সিদ্ধান্ত নেবেন বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশে গত মার্চ মাসে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার প্রেক্ষাপটে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলে উচ্চ ও নিম্ন আদালতের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
তবে ৩১শে মে থেকে ভার্চুয়াল আদালতের মাধ্যমে বিচারিক কর্মকাণ্ড শুরু হয়। কিন্তু নিম্ন আদালতে শুধুমাত্র জামিন শুনানি এবং নতুন মামলার আবেদন গ্রহণের মধ্যেই এই আদালতের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রয়েছে। তবে উচ্চ আদালতে বিভিন্ন বিষয়ে শুনানি হয়েছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলছেন, চিন্তাভাবনা আছে বলেই এই পরিস্থিতিতে প্রথমে অধ্যাদেশ জারি পরে আইনটা পাশ করেছি। যাতে আদালত বন্ধ থাকার কারণে ইমেডিয়েট যে প্রেশার তৈরি হয়েছে সেটাকে কমিয়ে আনা যায়। আমার মনে হয় আমরা সেই ব্যাপারে সার্থক হয়েছি।