কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ
জেলে গেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা চার পুলিশ সদস্যের কাছে মেজর (অব.) সিনহা হত্যায় গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
কক্সবাজার জেলগেটে বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির চার সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদে মেজর (অব.) সিনহা রাশেদ খান নিহতের ঘটনায় অনেক তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ। সোমবার (১০ আগস্ট) বিকেলে র্যাব সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আশিক বিল্লাহ একথা জানান।
তিনি আরো জানান, ওসি প্রদীপ, এসআই লিয়াকতসহ তিনজনকে রিমান্ডে নিতে পুরোপুরি প্রস্তুত র্যাব। তবে, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের আগে তদন্ত কর্মকর্তা প্রথমেই ঘটনার অন্যতম সাক্ষী সিফাত ও শিপ্রাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান। এরপর, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সিনহা হত্যাকাণ্ডের পর টেকনাফ থানার প্রত্যাহারকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ প্রাথমিকভাবে আইনি পরামর্শ নিতে আইনজীবীর সঙ্গে ফোনালাপ করেন তার সত্যতা মিলেছে বলেও জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক। তবে, সিনহা হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলেও দাবি র্যাবের।
এদিকে, সিনহা হত্যা মামলায় ১০ কার্য দিবসের মধ্যে ওসি প্রদীপ, এসআই লিয়াকতসহ তিন আসামির সাত দিনের রিমান্ড শুনানির নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তদন্ত শেষ না হওয়ায় রিমান্ডের বেঁধে দেয়া ওই সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে তদন্ত সংস্থা র্যাব। গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশিক বিল্লাহ।
গত ৩ জুলাই সিনহা রাশেদের সঙ্গে শিপ্রা, সিফাতসহ তিনজন কক্সবাজার যান ভ্রমণবিষয়ক তথ্যচিত্র ধারণের কাজে। গেল ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা রাশেদ খান।
পরে ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরিদর্শক লিয়াকত আলী, ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
পরদিন ৬ আগস্ট বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপসহ সাত আসামি কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। মামলায় বাকি যে দুই আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের কোনো হদিস মেলেনি।