অনলাইন ডেস্কঃ
স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী সেপ্টেম্বরের শেষে অথবা অক্টোবরের শুরুতে এইচএসসি পরীক্ষা গ্রহণের চিন্তা ভাবনা করছে সরকার। এনিয়ে বেশ কয়েক দফা বৈঠকের আয়োজন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বিভিন্ন সময়ে বিষয় কমিয়ে পরীক্ষা গ্রহণের কথা উঠে আসলেও আপাতত তার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের একাধিক সূত্রে জানা গেছে। এমনকি প্রশ্নপত্রে কোনোরূপ পরিবর্তনের সুযোগ থাকছে না।
সূত্র জানায়, একটি পাবলিক পরীক্ষা গ্রহণের জন্য প্রায় এক বছর ধরে কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হয়। এপ্রিলের ১ তারিখে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি বিবেচনায় তা ২৩মার্চ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়। এর পূর্বে পরীক্ষা গ্রহণের প্রায় শতভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন করে বোর্ডগুলো।
এর মধ্যে খাতা তৈরি, প্রশ্ন প্রণয়ন, কেন্দ্র নির্ধারণসহ সবগুলো কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। সূত্র জানায়, পরীক্ষার পদ্ধতিগত পরিবর্তন আনতে হলে ন্যূনতম ৩ থেকে ৪মাস হাতে থাকতে হয়। টেন্ডার আহ্বান করে খাতা ও প্রশ্নপত্র তৈরি, পরীক্ষক বাছাই করে প্রশ্ন তৈরি, তা হালনাগাদ করে প্রেসে পাঠানো ও সর্বশেষ লটারির মাধ্যমে প্রশ্ন বাছাই একটি সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া।
করোনাকালীন পরিস্থিতিতে ও স্বল্পসময়ে এ ধারায় পরিবর্তন আনা অনেকটা অসম্ভব ব্যাপার। আবার সময় দিয়ে নিয়ম পরিবর্তন করতে গেলে অনেক সময়ের দরকার। তাতে দীর্ঘমেয়াদী সেশনজটে পড়তে পারে শিক্ষার্থীরা। এদিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষা গ্রহণ করতে না পারলে চাকরির স্থগিত হওয়া পরীক্ষা ও চলমান নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে। এতে করে বেকারত্ব দীর্ঘ হবে, স্থবির হয়ে পড়বে সরকারি কার্যক্রম।
সূত্র আরও জানায়, এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা প্রস্তুতির জন্য পূর্ণ সময় পেয়েছে। মাত্র এক সপ্তাহ পূর্বে তাদের পরীক্ষা স্থগিত হয়। তাই প্রশ্ন পরিবর্তন করা, সিলেবাস কমানো ও সহজধারায় প্রশ্ন প্রণয়ন করে পরীক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ থাকছে না।
তবে অভিভাবকরা বলছেন ভিন্ন কথা। একাধিক অভিভাবক জানান, চূড়ান্ত সময়ের খুব কাছাকাছি এসে পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় মানসিকভাবে পিছিয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিনের ছুটির কারণে পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটেছে। কঠিন বিষয়গুলো ভুলতে শুরু করেছে তারা।
এদিকে জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা না আসলেও তা বাতিলের বিষয়ে একাধিক সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. আসাদুজ্জামান জানান, এইচএসসি পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে এখনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা আসেনি। এখন স্কুলগুলো বন্ধ রয়েছে। বেঞ্চ ফাঁকা রেখে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা গ্রহণ করতে হলে অতিরিক্ত ভেন্যু হিসেবে কেন্দ্রের কাছাকাছি স্কুলগুলোকে আমরা ব্যবহার করব। আমরা নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি।
তিনি জানান, প্রশ্নপত্র ও খাতা তৈরি হয়ে গেছে। চলতি বছরের পরীক্ষার্থীদের ক্লাসে ব্যাঘাত ঘটেনি। খুব কাছাকাছি এসে তাদের পরীক্ষা স্থগিত হয়। তাই প্রশ্নপত্র পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই। জেএসসি পরীক্ষার কাজে আমরা হাত দিতে পারিনি। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশমতে জেএসসি পরীক্ষার কার্যক্রমে আমরা হাত দিবো। সংবাদঃ আমোদ