ডেস্ক রিপোর্টঃ
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে হত্যার রাজনীতি শুরু হয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে দলের অনেকেই বঙ্গবন্ধু জনপ্রিয়তা কমাতে চক্রান্ত করেছিল।
আজ রবিবার সকালে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনায় যোগ দিয়ে এসব মন্তব্য করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পেছনে আসল খলনায়ক ছিল জিয়াউর রহমান। তার সঙ্গে ছিল মোশতাক। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর জিয়াকে করা হলো সেনাপ্রধান। খুনি মোশতাক হয়ে গেল রাষ্ট্রপতি। এ থেকেই বোঝা যায়, মোশতাক এবং জিয়াই এই হত্যায় জড়িত ছিল।’
মীর জাফর যেমন ইংরেজদের সঙ্গে মিলে বিশ্বাসঘাতকতা করে নবাব সিরাজ উদ দ্দৌলাকে হত্যা করেছিল, মোশতাকও জিয়ার সঙ্গে মিলে সেই কাজটাই করেছিল বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সিরাজ উদ দ্দৌলাকে হত্যার পর ইংরেজরা নবাব বানিয়েছিল মীর জাফরকে। কিন্তু সে তিন মাসও নবাব থাকতে পারেনি। মোশতাকেরও সেই পরিণতিই হয়েছিল। সেও বেশিদিন ক্ষমতায় টিকতে পারেনি। তাকে সরিয়ে দিয়ে একই সাথে সেনাপ্রধান এবং রাষ্ট্রপতি হয়ে গেল জিয়া নিজে।’ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান যে জড়িত, সেটা খুনিরাও বলেছে বলে জানান সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেন, ‘যিনি আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন, একটি জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদার সুযোগ করে দিয়েছিলেন, এদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছিলেন তাকেই খুনিরা হত্যা করল। পাকিস্তানিরা পারেনি। কিন্তু জাতির পিতার যাদের প্রতি বিশ্বাস ছিল ভালোবাসা ছিল তারাই জাতির পিতাকে হত্যা করে বিশ্বাসঘাতকতা করলো।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৫ আগস্টে শুধু হত্যাকাণ্ডই ঘটানো হয়নি। ঘাতকদের উদ্দেশ্য ছিল, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধ্বংস করা। জিয়া বেছে বেছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সেনা অফিসারদের খুন করেছে। খালেদা জিয়াও একই পথ অনুসরণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, জাতির পিতাকে খুনিরা হত্যা করলেও তার আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। সেই আদর্শের পথ ধরেই আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করছে। জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণই তার সরকারের একমাত্র লক্ষ্য বলে জানান বঙ্গবন্ধু কন্যা।