ডেস্ক রিপোর্টঃ
কুমিল্লায় পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের বিরুদ্ধে কঠোর পদপে নেয়ার যৌথ ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন ও দোকান মালিক সমিতি। পেঁয়াজের ক্রয়মূল্যের সাথে পরিবহন খরচ ও আনুষাঙ্গিক খরচ যুক্ত করে ৫ টাকা মুনাফার বেশি দরে বিক্রি করলেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কমিল্লার জেলা প্রশাসক। কুমিল্লায় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি প্রতিরোধে কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতি ও আড়তদারদের সাথে গতকাল বুধবার এক মতবিনিময় সভা শেষে এই সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। দুপুরে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন সম্মেলন কে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, পেঁয়াজের আড়তদার ও বিক্রেতাদেও সঙ্গে ক্রয় রশিদ রাখতে হবে। রশিদ ছাড়া অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় পেঁয়াজ মজুদ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুল ইসলাম সরদার, কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আতিক উল্লাহ খোকন, সহ-সভাপতি রেজাউল করিম ও মো. আমিনুল ইসলাম।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর বলেন, পেঁয়াজের বাজারে কিছুটা অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। কুমিল্লার বাজারে যাতে পেঁয়াজের মূল্যে কোন অস্থিরতা না থাকে এবং ভোক্তাগণ কোন প্রকার ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে-০জন্য জেলা দোকান মালিক সমিতির সাথে প্রশাসনের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আড়ত এবং পাইকারী ব্যবসায়ীরা বন্দর কিংবা ঢাকা থেকে পেঁয়াজ আমদানি করলে পরিবহনসহ যাবতীয় খরচ এবং লাভসহ ৫ টাকার উর্ধে কেউ পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারবে না। ঠিক একইভাবে খুচরা ব্যবসায়ীরাও পরিবহন, দোকান ভাড়া ও অন্যান্য খচর এবং লাভসহ ৫ টাকার বেশিতে বিক্রি করতে পারবে না। ভোক্তাদের হাতে পৌঁছা পর্যন্ত সকল ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ সংগ্রহে রাখতে হবে।
েেজলা প্রশাসক আরও বলেন, ক্রয়-বিক্রয়ের বিষয়টি আমরা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করবো। সেই নিয়ন্ত্রণের জন্য জেলা প্রশাসক, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং সাংবাদিকদের সমন্বয়ে একটি মনিটরিং টিম থাকবে। ওই টিমসব সময় তদারকি করবে।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আতিক উল্লাহ খোকন বলেন, দোকান মালিক সমিতি ও প্রশাসনের বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে সেগুলো পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের মানতে হবে। আপদকালীন সময়ে কোন ব্যবসায়ী অসৎ পন্থা অবলম্বন করলে এবং তার বিরুদ্ধে প্রশাসন যেকোন বিচার ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আমরা তা মেনে নেব। এই বিষয়ে সাংগঠনিকভাবে আমাদের কোন ছাড় নেই।
তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারীতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত। আর যাতে ক্ষতির সম্মুখীন না হই এবং জেল-জরিমানা দিতে না হয়, সেইন্য পেঁয়াজ বিক্রয়ের বিষয়ে জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মেনে চলবেন সবাই।
ব্যবাসীয়দের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন চকবাজার মার্কেট এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ, মো. লিটন মিয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সামদানী সুমন, কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বিপুসহ পেঁয়াজ আড়াতদার ও ব্যবসায়ীরা।