ডেস্ক রিপোর্টঃ
বাংলাদেশের চাঞ্চল্যকর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ এর ঘটনা পেছনের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেরিয়ে আসছে অনেক বড় বড় কর্মকর্তার নাম। এর সাথে যোগসাজশ পাওয়া যাচ্ছে এসপি মাসুদের গণমাধ্যমের সংবাদ গুলোতে এরইমধ্যে এস পি মাসুদ এর কথোপকথন ফাঁস হয়েছে এবং সেখানে শোনা গিয়েছে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন এসপি মাসুদ।
ওসি প্রদীপ বা লিয়াকত আশ্রয় কোথায় বা তারা এত ক্ষমতাধর কিভাবে হল সেটা সাধারণ মানুষের প্রশ্ন ?
সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহার ঘটনার পর আলোচনায় আসে ওসি প্রদীপ দাশের অন্ধকার জগতের তথ্য। কিন্তু তিনি কী একাই এই কাজ করেছেন? না। তার সঙ্গে ছিলেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনও। গোয়েন্দা সংস্থার অনুসন্ধান ও স্থানীয়দের ভাষ্যে উঠে এসেছে এসপি মাসুদের নানা অনিয়মের তথ্য। মূলত তার আশকারায় ওসি প্রদীপসহ একাধিক সদস্য বেপরোয়া কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন দিনের পর দিন। পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের ভূমিকা নিয়েও।
ওসি প্রদীপ বা লিয়াকতের মতো কয়েকজনের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযোগ এলেও তাদের বিরুদ্ধে বড় কোনো ব্যবস্থা নেয়নি জেলা পুলিশ। অভিযুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা সীমাবদ্ধ থাকতো কক্সবাজারের এক থানা থেকে অন্য থানায় বদলি করার মাঝেই। তাদের কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সায় ছিল এসপি’র। এসপি’র স্ত্রী জেনিফার মুনের নামে মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম গড়া ছাড়াও নামে-বেনামে বহু সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে একটি সংস্থার প্রতিবেদনে তথ্য উঠে এসেছে।
বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জের দক্ষিণ ওলানিয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের আব্দুল কাদের হাওলাদার ও অজুফা খাতুনের ছেলে এবিএম মাসুদ হোসেন ছাত্রাবস্থা থেকেই রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের কোনো সুযোগ হাতছাড়া করেননি। শিবিরের একজন নেতার মাধ্যমে তিনি ইসলামী ব্যাংকে চাকরি নিয়েছিলেন বলে তথ্য রয়েছে। জোট সরকারের আমলে ২৪তম বিসিএসে এএসপি হিসেবে যোগদান করেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শ্বশুরের পরিচয়ে তিনি সুবিধা নেন বলে গোয়েন্দা সংস্থা তথ্য পেয়েছে।
সূত্র জানায়, কক্সবাজারে প্রায় ৩০০টি অভিজাত হোটেল রয়েছে। এইসব হোটেল থেকে প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। যদি কোনো হোটেল মালিক ওই টাকা দিতে রাজি না হন তাহলে ওই হোটেলে অবৈধ কারবার হয়- এমন মিথ্যা দাবি দিয়ে বন্ধের হুমকি দেয়া হয়।
ওসি প্রদীপ এবং লিয়াকতের যোগসাজশ সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ এর ঘটনাটি বাংলাদেশ আলোচনা সৃষ্টি করে দিয়েছে। এরইমধ্যে গণমাধ্যমে উঠে আসছে না না তথ্য এবং সেই সাথে আলোচিত এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রকম মত-দ্বিমত ঘটছে। এরইমধ্যে গণমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে সাধারণ মানুষ এই ঘটনার নিন্দা প্রকাশ করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে।