ফয়সাল মবিন পলাশ, স্টাফ রিপোর্টারঃ
অনিয়মের অভিযোগে দুই অস্থায়ী (মাস্টার রোল) কর্মচারির বেতন বন্ধ রাখায় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের (কুসিক) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শেখ মো. নুরুল্লাহর কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ছয়-সাত যুবক ওই প্রকৌশলীর কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়।
প্রকৌশলী নুরুল্লাহর অভিযোগ, সিটি কর্পোরেশনের ট্যাক্স শাখায় মাস্টার রোলে কর্মরত দুই কর্মচারির বিরুদ্ধে সম্প্রতি অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। সে কারণে তাদের আগস্ট মাসের বেতন বন্ধ রাখা হয়। বৃহস্পতিবার স্টাফ মিটিংয়ে তিনি তাদের অনিয়মের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন। পরে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আরও ছয়-সাতজন যুবককে নিয়ে তার কার্যালয়ের টেবিলের গ্লাস ও চেয়ার ভাঙচুর করে।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজের অনিয়মের কারণে ওই প্রকৌশলী ঠিকাদারের চাহিদামতো বিল পরিশোধে অস্বীকৃতি জানান। তাই ওই ঠিকাদার ও তার লোকজন প্রকৌশলীর ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। এছাড়াও, বৃহস্পতিবার স্টাফ মিটিংয়ে তিনি সিটি কর্পোরেশনে কোনো দুর্নীতি সহ্য করবেন না বলে ঘোষণা দেন। এসবের জেরেই তার অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কুসিক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু মুঠোফোনে জানান, ‘‘আমি ঢাকায় আছি। ডেইলি লেবার এবং স্থায়ী লেবারদের মাঝে কাজকর্ম নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে বলে শুনেছি, এর বেশি কিছু আমার জানা নেই। ভাঙচুরের বিষয়টি প্রকৌশলী জানেন।’’
র্যাব-১১ এর কুমিল্লা সিপিসি-এর কমান্ডিং অফিসার তালুকদার নাজমুস সাকিব জানান, সিটি কর্পোরেশন থেকে খবর পেয়ে র্যাবের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সন্ধ্যায় কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হক বলেন, কর্মচারিদের বেতন নিয়ে গোলমালের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর টেবিলের গ্লাস ভেঙে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখনও থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।