নিজস্ব প্রতিবেদক, মুরাদনগর:
কুমিল্লা জেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন চাপিতলা গ্ৰামের আলোচিত ডাকাতি ও ধর্ষণ ঘটনায় শুক্রবার ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, গত ১৬ নভেম্বর রাতে ভিকটিম নারী তার পিত্রালয় চাপিতলা গ্রামে ছিলেন। রাত দেড়টার দিকে ৭-৮ জন ডাকাত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ঘরে প্রবেশ করেন। দুষ্কৃতিকারীরা পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে হাত-পা বেঁধে ও মুখে টেপ লাগিয়ে রাখেন। ভিকটিম নারীকে পাশের রুমে নিয়ে বিবস্ত্র করে নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারন করা হয়। তাদের মধ্যে টনকী গ্ৰামের আনু মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন (৩৫) ভিকটিম নারীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন এবং গর্ভের সন্তান নষ্ট করার উদ্দেশ্যে পেটে লাথি মারেন। এছাড়াও তাদের পরিবারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন এবং নগদ টাকাসহ ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র লুন্ঠণ করে নিয়ে যায়। এই ঘটনার পর বাঙ্গরা বাজার থানার এসআই ওমর ফারুক ও ২জনকে পুলিশ সদস্যসহ মোট ৩ জনকে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে ইতিমধ্যে জেলাতে ক্লোজড করা হয়েছে।
উক্ত আলোচিত ঘটনায় ভিকটিম নারীর পিতা মোঃ কবির হোসেন বাদী হয়ে ২৪/০৯/২০২২ইং তারিখে বাঙ্গরা বাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ধারা- ৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ০৩) এর ৯ (১)/৩৪, তৎসহ ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইন এর ৮(১)- একটি নিয়মিত মামলা করা রুজু করা হয়।
বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল হোসেন জানান, মামলা রুজুর পর হতে কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল মান্নান মহোদয়ের নির্দেশে এবং মুরাদনগর সার্কেল এএসপি পিযুষ চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) দীনেশ চন্দ্র দাশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল রাতে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে ৩ জনকে আটক করেন।
আলোচিত এই ধর্ষণ ও ডাকাতি মামলায় আটককৃত ৩ জন হলেন: কুমিল্লার বাঙ্গরা বাজার থানার গাজীপুর গ্ৰামের শিশু মিয়ার ছেলে সজীব মিয়া (২৩), একই গ্ৰামের ফুল মিয়ার ছেলে মোঃ জাকির হোসেন (৩৭), এবং মৃত জীবন মিয়ার ছেলে নাজমুল হাসান টুকু ওরোফে টুকন (১৯)।
আটককৃতদের নিকট থেকে লুন্ঠিত Realme স্মাটফোট সেট, ঘটনায় ব্যবহৃত একটি দা ও সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত আসামীরা ঘটনার সহিত নিজেদের জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। শুক্রবার দুপুরে আসামিগণকে কুমিল্লা বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হলে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। পলাতক অন্যান্য আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।