ডেস্ক রিপোর্টঃ
করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিন বন্ধের ঘোষণা দেয়া হলেও। কি কারণে এ ব্রিফিং বন্ধের ঘোষণা দেয়া হলো তা স্পষ্ট করছে না কেউ।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়বে বলে বিশেষজ্ঞদের সতর্ক বার্তার মধ্যেই বন্ধ হয়ে গেলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিন। মঙ্গলবারের বুলেটিন শেষ করার আগে এই ঘোষণা আসে। তবে, নিয়মিত প্রেস রিলিজের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের আপডেট দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। হঠাৎ করেই কেন বুলেটিন বন্ধ হলো, এর কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
চীনের উহানে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান- আইইডিসিআর’র নিয়মিত ব্রিফিং। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা তখন করোনা বিষয়ক সব তথ্য দিতেন।
দেশে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর আইইডিসিআরের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও সরাসরি ব্রিফিংয়ে যুক্ত হয়। মার্চের শেষ দিকে ডা. সেব্রিনা ফ্লোরার বদলে নিয়মিত ব্রিফ করতে শুরু করেন অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম- এমআইএস বিভাগের পরিচালক ডা. হাবিবুর রহমান।
মাঝে কখনো ব্রিফ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সাবেক মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ এবং অতিরিক্ত মহাপরিচালক সানিয়া তাহমিনা। এরপর স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে অনলাইনে ব্রিফ করার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তখন সাংবাদিকরা জুম প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেয়ার সুযোগ পেতেন।
এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রশ্নোত্তর পর্ব বাদ দিয়ে স্বাস্থ্য বুলেটিন চালু করা হয়। ১১ এপ্রিল থেকে এই বুলেটিনে নিয়মিতভাবে তথ্য উপস্থাপন করে আসছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
মঙ্গলবার বুলেটিন শেষ করার সময় তিনি ঘোষণা দেন, বুধবার থেকে আর এই বুলেটিন হবে না।
হঠাৎ করে কেন স্বাস্থ্য বুলেটিন বন্ধ করে দেয়া হলো জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক জানান, কয়েক মাস ধরে একটানা বুলেটিনের কাজ করতে গিয়ে অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এক প্রকার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
তবে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বুলেটিনে দেয়া করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বহির্বিশ্বে ভুল বার্তা দিচ্ছে। বিষয়টি পরিস্কার করতেই এই সিদ্ধান্ত।