রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
স্বামী হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে ও থানার ওসি মামলা গ্রহণ না করায় প্রতিকার পেতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন ভুক্তভোগী নমিতা রানী রক্ষিত (৪১)। গতকাল সোমবার দুপুরের দিকে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তিনি এই স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে নমিতা রানী রক্ষিত উল্লেখ করেন, ২০১৭ সালের ২১ মে সকাল ১০টা হতে রাত ১০টার মধ্যে কোনো এক সময়ে তার স্বামী শ্যামল রক্ষিতকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন দুর্বৃত্তরা। গলায় নাইলনের রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর তাকে একটি চিকন মেহগিনি গাছের সাথে বেঁধে রেখে চলে যায় তারা। একইসঙ্গে হত্যাকারীরা হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে একটি চিরকুট তার স্বামীর প্যাণ্টের পকেটের ভেতরে রেখে যায় বলেও স্মারকিিপতে উল্লখ করেন তিনি।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, নমিতা রানী রক্ষিত ঘটনার পরদিন ২২ মে রাজশাহী নগরীর শাহমখদুম থানায় এজাহার দিতে যান। কিন্তু থানার ততকালীন ওসি এজাহার গ্রহণ করেননি। স্মারকলিপিতে ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ করে নমিতা রানী বলেন, থানার ততকালীন ওসি ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেন। বিভিন্ন সংস্থার কাছে বিচার চেয়েও তিনি পাননি। পিবিআই রাজশাহীও এই হত্যাকান্ডকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। হত্যাকারীদের অব্যাহত হুমকির মুখে তিনি পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে নাটোরে মেয়ে জামাইয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
অবশেষে তিনি স্বামী হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে ও থানার ওসি মামলা গ্রহণ না করায় প্রতিকার পেতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। নমিতা রানী তার দাখিল করা এজাহারটি গ্রহণ করে স্বামী হত্যার বিচারের দাবি জানিয়েছেন। স্মারকলিপিতে নমিতা রানী তার স্বামী হত্যাকান্ডের ঘটনাটিকে পুলিশ কীভাবে ধামাচাপা দেওয়ার ও এটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে তার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেছেন।