নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
টেকনাফে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার তিনজনের মধ্যে মো. নুরুল আমিনকে অপহরণের অভিযোগে তার মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) টেকনাফ থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. আবুল ফয়সল জানান, সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে টেকনাফের মারিশবুনিয়া এলাকা থেকে মো. নুরুল আমিনসহ ৩ জনকে বাড়ি থেকে অজ্ঞাত একদল লোক জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। স্বজনরা বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলে রাতেই থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরে মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে থানায় মামলাটি নথিভূক্ত হয়।
ওসি আরও বলেন, স্বজনরা মো. নুরুল আমিন, মো. নাজিমুদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াজকে অপহরণের বিষয়টি থানায় অবহিত করার পর সোমবার রাত ৩টার দিকে টেকনাফের মারিশবুনিয়া এলাকায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। পরে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় মঙ্গলবার সকালে নুরুল আমিনের মা খালেদা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তবে এই ৩ জনকে র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তারের বিষয়টি মঙ্গলবার বিকালে আদালতে হাজির করার আগে পুলিশ অবহিত ছিলো না বলেও জানান টেকনাফ থানার ওসি।
মো. নুরুল আমিন টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবুনিয়া এলাকার নাজিম উদ্দিনের ছেলে।
এদিকে, সিনহা রাশেদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এই তিনজনকেই গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) দুপুরে বাহারছড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। নুরুল আমিনসহ গ্রেপ্তারকৃত ৩ জন সিনহা হত্যার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করা মামলার সাক্ষী।
র্যাব জানায়, হত্যাকাণ্ডের পর গ্রেপ্তার হওয়া এ তিন ব্যক্তি মেজর (অব.) সিনহা রাশেদ খানকে ডাকাত বলে প্রচার করেছিলো। গ্রেপ্তারকৃতরা সিনহা রাশেদ খান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা হত্যা মামলার সাক্ষী। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের ১০ দিন রিমান্ড আবেদন করা হবে। আগামীকাল বুধবার রিমান্ড শুনানির জন্য তিনজনকে আদালতে তোলা হবে।