কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ
সাত দিনের রিমান্ড শেষে মেজর (অবঃ) সিনহা মোঃ রাশেদ খান হত্যা মামলার সাত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ এই আদেশ দিয়েছেন।
এর আগে সাত আসামিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। মেজর (অব.) সিনহার পরিবারের দায়ের করা মামলার আইনজীবি মাহবুবুল আলম টিপু সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
এই আইনজীবি জানান, গত ১২ আগস্ট মেজর (অব.) মেজর সিনহা হত্যার তাঁর বোনের দায়ের করা মামলার আসামি পুলিশের বহিস্কৃত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া এবং টেকনাফের বাহারছরার মারশবনিয়া এলাকার নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াছকে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার পৃথক রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে প্রত্যেকের জন্য ৭দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। শেষে যথা নিয়মের তাদের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়।
স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পর্কে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) শাহীন আবদুর রহমান বলেন, অত্যন্ত নিবিড়ভাবে র্যাবের আনা সাত জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের স্বাস্থ্য স্বাভাবিক রয়েছে।
অন্যদিকে বর্তমানে র্যাবের রিমান্ড হেফাজতে রয়েছে এই মামলা শীর্ষ আসামি বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছাড় ফাঁড়ির ইনচার্জ লিয়াকত আলী ও এএসআই নন্দদুলাল রক্ষিত। একই সাথে গত ১৮ আগস্ট আটককৃত (পরে গ্রেপ্তার দেখানো) ১৬ এপিবিএন এর ৩ সদস্যকেও সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। তবে তাদেরকে এখনো রিমান্ডে নেয়া হয়। তারা এখন জেলা কারাগারে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই খুন হওয়া মেজর (অবঃ) সিনহা মোঃ রাশেদ খান টেকনাফের বাহারছড়ায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এরপর ৫ আগস্ট তার বড়বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলী, নন্দলাল রক্ষিত, সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া সহ ৯জনকে আসামি করে টেকনাফ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।
পরে মামলা টেকনাফ থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু হয়। এই মামলায় এজাহারভুক্ত নয় আসামির মধ্যে সাত জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এছাড়াও পরে আসামিভুক্ত বাহারছড়ার স্থানীয় তিনজন ও এপিবিএন এর তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।