ডেস্ক রিপোর্টঃ
সিনহা হত্যায় আলামত সংগ্রহে টেকনাফ থানার ওসির কক্ষে থাকা সিসিটিভির দুইটি হার্ডডিক্সের একটি খোঁজ মেলেনি। আরেকটি থাকলেও তা নষ্ট পাওয়া গেছে। তাই সেখান থেকে কোনো ফুটেজ সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। থানার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলছেন, সেখানে যোগ দেয়ার আগে সেগুলো নষ্ট করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত নন তিনি।
মৃত্যুর আগে মাদক চোরাচালান নিয়ে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন তথ্যের ভিত্তিতেও চলছে তদন্ত। খোঁজা হচ্ছে সিনহার সঙ্গে থাকা ক্যামেরা, ল্যাপটপ ও অন্যান্য ডিভাইস। চেষ্টা করা হয় ওসি প্রদীপের কক্ষে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহের।
এ লক্ষ্যে স্থানীয় একজন টেকনিশিয়ানকে দিয়ে ২৫শে জুলাই থেকে ৬ই আগস্ট পর্যন্ত সিসিটিভি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করায় টেকনাফ মডেল থানা। তবে, তবে ওসির কক্ষে থাকা সিসিটিভির একটি হার্ডডিক্স খুঁজে পাওয়া যায়নি। আরেকটি এক টেরাবাইটের হার্ডডিক্স থাকলেও তা নষ্ট পাওয়া যায়।
সিসিটিভি টেকনিশিয়ান মোহাম্মদ আলম বলেন, আমাকে চেক করার জন্য নিয়ে গেলি দেখা যায় যে দুইটা ক্যামেরা আছে সেগুলো দিয়ে রেকর্ড হচ্ছে না। পরে আমাকে ভালোভাবে দেখতে বললে আমি চেক করে দেখি একটার হার্ডডিক্স নষ্ট, আরেকটির ভেতরে হার্ডডিক্সই নাই।
টেকনাফ থানার নতুন দায়িত্ব নেয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহম্মদ আবুল ফয়সল বলেন, তিনি যোগ দেয়ার পর যা পেয়েছেন তাই বিশ্লেষণ করা হয়েছে। আমি যোগদান করার পরই দুইটা সিসিটিভি ক্যামেরাই পরীক্ষা করে দেখি একটিতে হার্ডডিক্স নেই, আরেকটি দিয়ে রেকর্ড হয়না।
এদিকে, ঘটনার ১৯ দিন পর ২৯টি আলামত জব্দের তালিকা করেছে রামু থানা। যা নিজেদের কাছে নিতে আদালতের মাধ্যমে আবেদন জানিয়েছেন তদন্তের দায়িত্বে থাকা র্যাব কর্মকর্তারা।