নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বৃক্ষ সকল দিক থেকেই মানুষের উপকারী। অক্সিজেন প্রদান করে কিংবা কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহন করে। তবে কিছু কিছু বৃক্ষের সাথে মানুষের জড়িয়ে থাকে অসংখ্য সুন্দর মূহুর্ত। সেইসব মুহূর্তগুলোকে স্মৃতির পাতায় আবদ্ধ করে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে মূলসহ উঠে পড়েছে কুমিল্লার মুরাদনগরের দূর্গা রাম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের পুরাতন কৃষ্ণচূড়া গাছটি।
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে পাশাপাশি অবস্থিত দুইটি কৃষ্ণচূড়া গাছ সর্বদাই মানুষকে আকৃষ্ট করতো তার স্ব-মোহে। ফুলগুলো ছড়িয়ে ছিটয়ে থাকতো বেরিবাঁধ সড়কের উপর যেগুলো নিয়ে আসতো অবিরাম প্রশান্তি। গ্রীষ্মের তাপাদাহে অসংখ্য শিক্ষার্থীদের দিয়েছে শীতল স্নেহের ছায়া। গোমতী বেরি বাঁধের নিকটবর্তী মাঠের পাশে দাড়িয়ে থাকা গাছের নিচে স্বভাবতই ভীর জমাতো বিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্ররা। এছাড়াও ফুটবল খেলার সময় মানুষের আসন হিসেবে ব্যবহৃত হতো গাছটি। জ্বালানি হিসিবে ঝড়ে যাওয়া ডালপালা কুড়িয়ে নিতো সাধারণ মানুষজন। গাছটি পড়ে যাওয়ায় পুরাতন বর্তমান শিক্ষার্থীরা সহ অসংখ্য মানুষদের লক্ষ্য করা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যথিত মনোভাব প্রকাশ করতে।
বিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষার্থী আনাস আহমেদ বলেন, স্কুলে থাকতে আমরা বিরতির সময় বন্ধুরা মিলে এই গাছতলায় আড্ডা দিতাম। ফুলের পাপড়ী গুলোকে বইয়ের ভেতরে দিয়ে রাখতাম। গাছের নিচে দাড়ালে মনে হতো ফিরে গিয়েছি স্কুলজীবনের মধুর লগ্নে। আজ গাছটি পরে যাওয়ায় মনের অজান্তেই কষ্ট অনুভব হচ্ছে। স্মৃতি বিজড়িত গাছটি প্রকৃতির রূপ ফুটিয়ে তুলতো সকলের মাঝে।
প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহজাহান বলেন, গাছটি পুরানো ছিল। বিদ্যালয় মাঠের সৌন্দর্য বর্ধনে গাছটির ভূমিকা ছিল অপরিসীম। এতবড় স্মৃতিবিজড়িত গাছ পরে যাওয়া দুঃখের। আমরা আরো প্রতিনিয়ত বৃক্ষরোপণ করি ছাত্রদের উৎসাহ দিতে। আরো কিছু ফুল গাছ লাগাবো যেন এই ভবিষ্যতে এই গাছটির মতো স্নেহের পরশ দান করতে পারে।