ডেস্ক রিপোর্টঃ
সার্বক্ষনিক বোর্ডের নিয়োগপ্রাপ্ত নিরাপত্তাকর্মীকে সাথে পাবেন টাইগার অলরাউন্ডার। সাকিবের কোয়ারেন্টিন নিয়ম ভঙ্গের বিষয়টিও পরিস্কার করেছে বোর্ড। এদিকে, কমানো হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের সময়সীমা। তাইতো চূড়ান্ত সূচি প্রকাশে হচ্ছে বিলম্ব।
এক ফ্রেমে দুই কাপ্তান। একজন বর্তমান আরেকজন সাবেক। আসছে টি টোয়েন্টি কাপে দুই জনই আবার খেলবেন একই দলে। দুই জনের আলোচনাটা কি সেই জেমকন খুলনা নিয়েই!
সে যাই হোক, সাকিব আল হাসানের আলোচনা-সমালোচনা এখন টপ অপ দ্যা কান্ট্রি। পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক, অনুশীলনেও সাকিবের সঙ্গী নিরাপত্তাকর্মী। গ্রেপ্তার হয়েছেন হত্যার হুমকিদাতা, মামলাও হয়েছে। তবুও উদ্বিগ দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা বিসিবি। টাইগার পোস্টার বয়ের জন্য নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী অফিসার নিজামউদ্দিন চৌধুরি সুজন বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটনা সম্প্রতি হয়েছে। এজন্যই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। হুমকির ঘটনাকে যদিও আমরা একজনের ব্যক্তিগত ও বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবেই দেখছি, তবে বাড়তি সতর্কতা হিসেবেই এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সাকিবের নিজে একটু কনসার্ন ছিল, সাম্প্রতিক নানা ঘটনায় সেটি স্বাভাবিক। আমরাও আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। স্রেফ তাকে একটু মানসিকভাবে কমফোরটেবল রাখতেই এটা করা হয়েছে। তার মুভমেন্টের সময় পাশে থাকবেন ওই নিরাপত্তারক্ষী। সাময়িক ব্যবস্থা এটি, আশা করি লম্বা সময় রাখতে হবে না।
আমেরিকা থেকে ঢাকায় পা রাখার পর থেকেই সাকিবের পিছু নিয়েছে বিতর্ক। কোয়ারেন্টিন নিয়ম ভঙ্গের বিস্তর অভিযোগ। অনেকের প্রশ্ন বিসিবির অধীনে থেকে কিভাবে এমনটা সম্ভব। ইঙ্গিত বোর্ডের গাফিলতির দিকে। সব কিছুর ব্যাখ্যা দিয়েছেন বোর্ডরে প্রধান নির্বাহী।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী বলেন, যখন আমাদের কোন টুর্নামেন্ট হয় তখন কিছু বাধ্য বাধকতা থাকে। কিন্তু এখন কোন টুর্নামেন্ট না থাকায় তারা একটু রিলাক্স সময় পার করছে। আবার যখন কোন টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে তখন আবার খেলোয়াড়দের আমাদের রুলসগুলো মেনেই চলাফেরা করতে হবে।
ঘরোয়াতে ফিরলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার অপেক্ষা। জানুয়ারিতে টাইগারদের ডেরায় আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চূড়ান্ত শিডিউলের অপেক্ষা। দুই বোর্ডের মধ্যে চলছে আলোচনা..। কমানো হবে সিরিজের ডিউরেশন। সেক্ষেত্রে তিন টেস্টের পরিবর্তে হবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।
নিজামউদ্দিন চৌধুরি সুজন বলেন, ‘আমাদের একটা স্ট্যান্ডার্ড প্র্যাক্টিস আছে, বিদেশি খেলোয়াড় বা কোচ যারা অংশগ্রহণ করেন। রিসেন্ট যে টুর্নামেন্টটা আমরা করেছি সেখানেও কিছু বিদেশি স্টাফ ছিলেন। তাদের ক্ষেত্রে যে প্র্যাক্টিসটা আমরা করেছি। তারা আসার পর কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। তাদের টেস্ট করা হবে, ফল যদি নেগেটিভ হয়। তাহলে তারা এভেইলেবল হবে। এভাবেই আমরা চেষ্টা করবো। এভাবেই সরকারের সঙ্গে কথা হচ্ছে। এছাড়া এই সফরে একটি টেস্ট কমানোর জন্য বিসিবির কাছে অনুরোধ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড।
আন্তর্জাতিক সিরিজ ছাড়াও বোর্ডের ব্যস্ততা এখন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ নিয়েই। সংবাদঃ ডিবিসি