বিজ্ঞপ্তি:
"কুমিল্লা টাইমস টিভিতে" আপনার প্রতিষ্ঠান অথবা নির্বাচনী প্রচারনার জন্য এখনি যোগাযোগ করুন : ০১৬২২৩৮৮৫৪০ এই নম্বরে
শিরোনাম:
কুমিল্লা-৩ আসনে আ’লীগ, জাপা ও স্বতন্ত্রসহ মুরাদনগরে ১৪ প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র দাখিল কুমিল্লা-০২ আসনে ১২ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল কুমিল্লায় তিন বাসে আগুন দিলো দুর্বৃত্তরা কুমিল্লার ৭ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করল তৃণমূল বিএনপি দাউদকান্দিতে ভূয়া দুই চিকিৎসককে জরিমানা কুমিল্লার ১১ সংসদীয় আসনে মনোনীত হলেন যারা জেলা কমান্ড্যাট-এর সাহসিকতায় ছিনতাইকারী গ্রেফতার মুরাদনগরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত বাইউস্টের ত্রয়োদশ শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত মুরাদনগরে পানিতে ডুবে এক পরিবারের তিন শিশুর মৃত্যু মুরাদনগরে গোমতী নদীর চরে এসিল্যান্ড’র অভিযান, লাখ টাকা জরিমানা মুরাদনগরে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ ও ডায়বেটিস নির্ণয় কর্মসূচি অনুষ্ঠিত ইউসুফপুর আইডিয়েল উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক সদস্য প্রার্থী নাজমুল হোসেন সরকার দাদীকে হত্যার পর জানাজা ও দাফনে অংশ নেয় খুনী সাগর কুমিল্লা মেডিকেলে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক লাঞ্ছিত

শুরু হলো শোকের মাস আগস্ট

  • আপডেটের সময় : রবিবার, ২ আগস্ট, ২০২০
  • ৫১২ বার পড়া হয়েছে
শুরু হলো শোকের মাস আগস্ট
শুরু হলো শোকের মাস আগস্ট

ডেস্ক রিপোর্টঃ

বাঙালির শোকের আগস্ট মাস শুরু হয়েছে। জাতির ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল এ মাসে। ১৯৭৫ সালের এ মাসেই বাঙালি জাতি হারিয়েছে বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক – সামাজিক – সাংস্কৃতিক সংগঠন আগস্টকে শোকের মাস হিসেবে বরাবর পালন করে আসছে।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট মানব সভ্যতার ইতিহাসে নৃশংসতম ও ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের কালিমালিপ্ত বেদনাবিধুর শোকের দিন। কিছু সংখ্যক সেনাবাহিনীর বিপথগামী সদস্য সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে নেমে আসে তীব্র শোকের ছায়া এবং নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডে ছড়িয়ে পড়ে ঘৃণার বিষবাষ্প।

১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট শেষ রাতে (১৫ আগস্ট) ঘাতকরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসায় নৃশংসভাবে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নিঃশেষ করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, জ্যেষ্ঠ পুত্র মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, দ্বিতীয় পুত্র মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, কনিষ্ঠ পুত্র শিশু শেখ রাসেল, সদ্য বিবাহিত পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসেরকে সেখানে হত্যা করা হয়। বেইলি রোডে সরকারি বাসায় হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছোট মেয়ে বেবি সেরনিয়াবাত, কনিষ্ঠ পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, দৌহিত্র সুকান্ত আবদুল্লাহ বাবু, ভাইয়ের ছেলে শহীদ সেরনিয়াবাত, আবদুল নঈম খান রিন্টুকে। আরেক বাসায় হত্যা করা হয় তার ভাগ্নে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণিকে। তারা ধানমন্ডি এলাকার বর্তমান সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপসের বাবা-মা।

বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে আক্রমণ হয়েছে শুনেই সেখানে যাওয়ার জন্য রওনা দেন বঙ্গবন্ধুর প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদ। তবে ৩২ নম্বরের সামনে পথভ্রষ্ট সেনা কর্মকর্তারা তাকে প্রথমে বাধা দেয় ও পরে হত্যা করে। এছাড়া ওইদিন ৩২ নম্বরের বাড়িতে কর্তব্যরত অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ড বিশ্বের বুকে নিন্দিত ও ঘৃণিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের উদাহরণ হয়ে আছে।

সেদিন ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর বড় সন্তান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ছোট মেয়ে শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধুসহ সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের সময় তারা দুজনেই শেখ হাসিনার স্বামী প্রখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী প্রয়াত ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার কর্মস্থল জার্মানিতে ছিলেন।

এ শোকের মাসেই আরেকটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনার জন্ম হয়। ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে ২৪ জনকে হত্যা করা হয়। ওই হামলার টার্গেট ছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।


কুমিল্লা টাইমস’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।


সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

বিজ্ঞাপন

সকল স্বত্বঃ কুমিল্লা টাইমস কতৃক সংরক্ষিত

Site Customized By NewsTech.Com