- নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা:
লাকসামে মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকার, অভিযুক্ত শিক্ষক গ্রেপ্তার লাকসামে নূরানী ও হিফজ মাদ্রাসার ১৪ বছরের একছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে বড়বাম মদিনাতুল উলূম জামিয়া ও নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক শরীফুর রহমান খন্দকারকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১ আগষ্ট ) সকালে মাদরাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষক শরীফুর রহমান খন্দকার উপজেলার আজগরা ইউনিয়ন বড়বাম গ্রামের মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। তিনি বড়বাম মদিনাতুল উলূম জামিয়া ও নূরানী হাফিজিয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা এবং শিক্ষক।
লাকসাম থানার সাব ইন্সপেক্টর মাকসুদুর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে একই গ্রামে অবস্থিত মদিনাতুল উলূম জামিয়া ও নূরানী হাফিজয়া মাদ্রাসায় হিফজ বিভাগে পড়তেন।
গত ২২ জুলাই বিকালে পৌরশহরের বাইপাস এলাকায় অবস্থিত খন্দকার মার্কেটর ৪র্থ তলায় একটি রুমে ওই ছাত্রকে বলাৎকার করেন ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষক শরীফুর রহমান খন্দকার।
এছাড়াও গত ২৬ জুলাই মাদ্রাসা থেকে ওই ছাত্রকে মোটরসাইকেলে করে একই স্থানে এনে ছাত্রকে বলাৎকার করে শরীফুর রহমান খন্দকার। ২৭ জুলাই মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে নিজ বাড়ীতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই ছাত্র।
ছাত্রকে বলাৎকার ও অসুস্থ হওয়ার ঘটনার বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে শিশুটির পরিবার তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রের বাবা নূর মোহাম্মদ সোমবার (৩১ জুলাই) রাতে থানায় এসে শিক্ষক শরীফুর রহমান খন্দকারের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে থানা পুলিশ মঙ্গলবার (১আগষ্ট) সকালে অভিযুক্ত শরীফুর রহমান খন্দকারকে আটক করে।
এ বিষয় লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। আসামি শরীফুর রহমান খন্দকারকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।