বিজ্ঞপ্তি:
"কুমিল্লা টাইমস টিভিতে" আপনার প্রতিষ্ঠান অথবা নির্বাচনী প্রচারনার জন্য এখনি যোগাযোগ করুন : ০১৬২২৩৮৮৫৪০ এই নম্বরে
শিরোনাম:
মুরাদনগরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ দরিদ্র ও মেধবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতা, পুরষ্কার ও সংবর্ধনায় বাঙ্গরাবাজার থানা নোবেল সোসাইটি বাঙ্গরাবাজার থানা নোবেল সোসাইটির পক্ষ থেকে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতা খামারগ্রাম প্রবাসী সংগঠনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও কার্যালয় উদ্বোধন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ ও মেধাবৃত্তি প্রদান অন্তর্র্বতী সরকারের বড় সংস্কার হবে সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া – কায়কোবাদ বরুড়ায় মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অপসারণের দাবি কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শ্রমিকসহ নিহত ৩ কুমিল্লা কি অ্যামাজন জঙ্গল থেকে এসেছে; প্রশ্ন জামায়াত আমিরের সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের জনসাধারণের কাছে খোলা চিঠি কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাল্টা কমিটি ঘোষণা তিতাসে নিখোঁজের সাড়ে তিন মাস পর বৃদ্ধ নারী’র হাড়গোড় উদ্ধার দেবিদ্বারের ধামতীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বসতজমি দখল চেষ্টার অভিযোগ মুরাদনগরে সাবেক চেয়ারম্যানের মৃত্যুতে বিএনপির শোক প্রকাশ কুমিল্লার যুবক বাগেরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত

লাকসামে বেরুলা খাল ভরাটে হুমকির মুখে তিন সহস্রাধিক একর কৃষি জমি

  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর, ২০২০
  • ৪৭৬ বার পড়া হয়েছে
লাকসামে বেরুলা খাল ভরাটে হুমকির মুখে তিন সহস্রাধিক একর কৃষি জমি

লাকসাম প্রতিনিধিঃ

বেরুলা খাল, দৈর্ঘ্য প্রায় ৬০ কিলোমিটার। কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার ফতেপুর গ্রাম থেকে যাত্রা শুরু। শেষ হয় নোয়াখালীর চৌমুহনী গিয়ে। শত বছরের প্রাচীন খালটি ধীরে ধীরে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। কোথাও খালের উপর দোকান ও বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। কোথাও আংশিক ভরাট করা হয়েছে। সম্প্রতি কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক ফোরলেন নির্মাণে খালটির অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার পথে রয়েছে। সড়ক বর্ধিত করতে গিয়ে এ অঞ্চলের খালটির অধিকাংশ ভরাট করা হয়েছে। কোথাও খাল ড্রেনে পরিণত হয়েছে। তবে লাকসাম পৌরসভার দক্ষিণে বাতাবাড়িয়া ও ভাটিয়াভিটায় পুরো খাল ভরাট করে ফেলা হয়েছে। এতে এই এলাকার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। সেচ সংকটে পড়বে কৃষি জমি। প্রাকৃতিক মাছের উৎস নষ্ট হবে। খাল ভরাটে ধ্বংস হবে কুমিল্লা জেলার লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, নাঙ্গলকোট, নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি ও বেগমগঞ্জ উপজেলার তিন সহ¯্রাধিক একর কৃষি জমি।

স্থানীয় সূত্রমতে,এই খালটি দিয়ে নোয়াখালী থেকে নৌকা যোগে লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজারে মালামাল বহন করা হতো। পাল তোলা নৌকায় বসে মাঝি কণ্ঠে সুরের মায়াজাল বুনতেন। খাল থেকে পানি নিতে আসা গাঁয়ের বধূ ঘোমটা টেনে কান খাড়া করে শুনতেন সেই গান। দখলে এবং অপরিকল্পিত ব্রিজ নির্মাণে খালের নৌ-পথ বন্ধ হয়ে যায়। তবে টলটলে পানিতে মাছ শিকার করে সংসার চালাতেন স্থানীয় জেলেরা। খননের অভাবে সেই খাল এখন ড্রেন হয়ে গেছে। এখন ফোরলেন করতে গিয়ে খাল ভরাট করে ফেলা হচ্ছে। আগামী বছর ফসল উৎপাদন নিয়ে চিন্তিত কৃষক। সড়কের পশ্চিম পাশে জায়গা থাকলেও উচ্ছেদ এবং প্রভাবশালীদের কারণে উপকারী খাল ভরাট করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

এই খালের সাথে সংযোগ রয়েছে কুমিল্লার লাকসাম,মনোহরগঞ্জ,নাঙ্গলকোট,নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি ও বেগমগঞ্জের বিভিন্ন শাখা খালের। বেরুলা খাল ভরাট হলে প্রবল জলাবদ্ধতার কবলে পড়বে লাকসাম উপজেলার উত্তরদা, আজগরা, মনোহরগঞ্জ উপজেলার খিলা,নাথেরপেটুয়া,বিপুলাসার ও নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি ও বেগমগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন।
মনোহরগঞ্জ উপজেলার খিলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,১৯৭৮সালের দিকে খালটি স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে সংস্কার করা হয়। খালটি দিয়ে নোয়াখালী থেকে নৌকা যোগে লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজারে মালামাল আনা-নেয়া করা হতো। খালটি ভরাট হয়ে গেলে এই অঞ্চলের মানুষ জলাদ্ধতার কবলে পড়বে। কৃষি জমি পড়বে সেচ সংকটে।

লাকসামের প্রবীণ সাংবাদিক মজিবুর রহমান দুলাল বলেন,খালের ভূমি কার সেটি খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। তবে ভূমি যারই হোক তা ভরাট করা যাবে না। এতে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে।
লাকসাম উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম সাইফুল আলম বলেন,যতটুকু জেনেছি খালের মালিকানা সড়ক ও জনপদ বিভাগের। সেখানে খাল ভরাট করে তারা ফোরলেনের কাজ করছেন। এনিয়ে আমার কিছু বলার সুযোগ নেই।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি সেচ) কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান বলেন,কৃষিকে বাঁচাতে প্রবাহমান খালের বিকল্প নেই। বিষয়টি আমরা খোঁজ নিয়ে দেখবো।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন কুমিল্লার সভাপতি ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন,খাল ভরাট করা বেআইনি। সেটা যে সংস্থাই করুক। পরিবেশ,প্রকৃতি ও কৃষিকে বাঁচাতে নদী- খাল রক্ষা করতে হবে।
কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর বলেন,খাল ভরাটের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মো. আহাদ উল্লাহ বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবো। প্রয়োজনে খাল ভরাট করেই কাজ করতে হবে। তথ্যঃ আমোদ


কুমিল্লা টাইমস’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।


সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

বিজ্ঞাপন

সকল স্বত্বঃ কুমিল্লা টাইমস কতৃক সংরক্ষিত

Site Customized By NewsTech.Com