অনলাইন ডেস্কঃ
যেকোনো প্রতিষ্ঠান চালু করতে হলে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেওয়া অপরিহার্য। কিন্তু অনেক প্রতিষ্ঠানই চলছে খেয়ালখুশিমতো, নিবন্ধন ছাড়া। বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসমূহের নিবন্ধন এবং লাইসেন্স নবায়নের জন্য সরকারের বেঁধে দেয়া সময়ের মেয়াদ শেষ হয় গত রোববার (২৩ আগাস্ট)। কিন্তু তারমধ্যেও নিবন্ধন নবায়নে আসেনি প্রায় সাড়ে ৩ হাজার বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এখন এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
গত ২৩শে আগস্ট (রোববার) নির্ধারিত সময় পর্যন্ত নিবন্ধন নবায়নের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ১২ হাজার ২২১টি আবেদন জমা পড়েছে। লাইসেন্স নবায়ন হয়েছে ৪ হাজার ৫১৯টি। প্রক্রিয়ার মধ্যে আসা অপেক্ষমাণ আবেদনের সংখ্যা ৭ হাজার ৬৭২টি।
নির্ধারিত সময়ে যারা আবেদন করেনি এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আরো কিছুটা সময় চেয়েছে বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন।
তবে টাস্কফোর্স ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ ধরনের প্রতিষ্ঠান এখন থেকে অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত হবে। এগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হবে।
বিভাগভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ঢাকায় আবেদন করেছে ৩৪৮৫টি, চট্টগ্রামে ২৪৬৭টি, রাজশাহীতে ১৬৬৭টি, রংপুরে ৯৬৪টি, খুলনায় ১৫৯২টি, বরিশালে ৭৪০টি, সিলেটে ৫০৭টি ও ময়মনসিংহে ৭০৫টি। অপরদিকে লাইসেন্স নবায়ন হয়েছে ঢাকায় ১৭৫৪টি, চট্টগ্রামে ৭৬১টি, রাজশাহীতে ৮০৩টি, রংপুরে ১৪১টি, খুলনায় ৪৪৩টি, বরিশালে ৩১৭টি, সিলেটে ২১২টি এবং ময়মনসিংহে ৮৮টির।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডাঃ ফরিদ হোসেন মিয়া বলেন, নির্ধারিত সময়ে যারা আবেদন করতে আসেনি তাদের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করেই সব কিছু করা হবে। ২০১৭-১৮ বর্ষের হিসাব অনুযায়ী এখনো প্রায় সাড়ে ৩ হাজার প্রতিষ্ঠান নবায়ন করতে আবেদন করেনি।
বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মনিরুজ্জামান ভুঁইয়া বলেন, টাস্কফোর্সের নির্ধারিত সময়ে ১২ হাজারের বেশি আবেদন পড়েছে। ৭২ থেকে ৭৫ শতাংশ আবেদন করেছে। অনলাইনে আবেদন করার কারণে প্রক্রিয়ায় কিছু সমস্যা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যারা আবেদন করতে পারেনি তাদের বিষয়টি দেখার জন্য মন্ত্রণালয়কে বলেছি। কেন তারা আবেদন করতে পারেনি। ইচ্ছাকৃত না অনিচ্ছাকৃত হয়েছে-এটা জানা দরকার। যারা এখনো আবেদন করতে পারেনি, তাদেরকে প্রক্রিয়ায় আনতে একটু সময় দিতে বলেছি। সাড়ে ৩ হাজারের মতো প্রতিষ্ঠান আবেদন করেনি। তবে সঠিক সংখ্যাটা বলা মুশকিল। কারণ অনেক নতুন প্রতিষ্ঠান আছে যারা কোথাও এখনো তালিকাভুক্ত হয়নি।