সোহেল রানা,যশোর প্রতিনিধিঃ
যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণে রওশনারা (৫০) নামে এক নারীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে সাবেক স্বামী আনোয়ারুল ইসলাম। সে ঝিকরগাছা উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের মৈদর আলীর ছেলে।
এঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে ঐ নারী। মঙ্গলবার সকাল ১১টার সময় উপজেলার বুরুজবাগান গ্রামে ওই নারীর নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, আনোয়ারুল পেশায় একজন মাদক ব্যবসায়ী এবং রওশনারার ডিভোর্সী স্বামী।দীর্ঘদিন ধরে তাদের দুজনের মধ্যে কোন যোগাযোগ ছিলোনা। নতুন করে স্ত্রীকে আবারও ফিরে পেতে কিছুদিন যাবত রওশনারার বাড়ির আশেপাশে ধর্না দেওয়া এবং তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি প্রদান করছিলো আনোয়ার।
রওশনারা আনোয়ারার নানাবিধ চাপ থেকে বাঁচতে থানায় অভিযোগ করার জন্য ঘটনার দিন যেতে চাইলে সে বিষয়টি আঁচ করে ফেলে সু-চতুর আনোয়ার।অতি কৌশলে আনোয়ার ধারালো অস্ত্র নিয়ে আগে ভাগেই রওশনায়ার বাড়ির ভিতর প্রবেশ করে গোপনে পালিয়ে থাকে।
কিছুক্ষণ পরে রওশনারা বাড়িতে ঢুকলেই অতর্কিত হামলা করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।পরে গ্রামের মধ্যে দিয়ে প্রকাশ্যে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গ্রামের সাধারন জনতা আনোয়ারকে ঘিরে ধরলে নিজে থেকেই নাভারণ সার্কেল অফিসার মহোদয়ের নিকট আত্মসমর্থন করে আনোয়ার।
এদিকে গুরুতর আহত রওশনারাকে স্থানীয় গ্রামবাসী উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
বিকাল ৪টার সময় সেখানেও অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেলে স্থানান্তর করেন।
নাভারণ সার্কেল এএসপি জুয়েল ইমরান জানান,ঘাতক আনোয়ারুল নিজ মুখে ঘটনার সত্যতামুলক জবানবন্দি দিয়েছে। তাকে অপরাধ সাভ্যস্ত করে শার্শা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।ঘটনা তদন্ত করে এবং আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।