▪️প্রধান শিক্ষকের ক্ষোভ প্রকাশ।
▪️অনিয়মের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের তহবিল থেকে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাখরনগর উচ্চ বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া বিদ্যালয়ের গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে সভাপতির বিরুদ্ধে।
জানা যায়, উপজেলার নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের এই উচ্চবিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি এম.কে নাজমুল হাসান নিঝুম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অমান্য করে বিদ্যালয়ের ৫টি পুরোনো গাছ কেটে ফেলেছেন। পাশাপাশি ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও প্রজেক্ট কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর ছাড়াই বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজের জন্য তহবিল থেকে ৩ লক্ষ টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে ওই সভাপতির বিরুদ্ধে।
বাখরনগর উচ্চ বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক নাছির উদ্দিন বলেন, কমিটির সভাপতির ছত্রছায়ায় যদি কিছু সংখক লোক দিয়ে কাজ করায় আমি তো আর কিছু বলতে পারিনা, যেহেতু তিনি আমার বস। এটা সত্য সরকারি ভাবে কোন টেন্ডার ছাড়াই বিদ্যালয়ের ৫টি গাছ কর্তন করা হয়েছে এবং সভাপতি সাহেব বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ করতে আমাদের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেনকে একটি প্রজেক্টের সভাপতি বানিয়ে ও বিদ্যালয়ের অন্যান্যদের নিয়ে কাজটা করার কথা ছিলো। আমার মনে হয় তারা কিছুই জানেনা, সভাপতি সাহেব অন্য লোকদের দিয়ে প্রজেক্টের কাজ করিয়েছে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত সভাপতি সাহেব কোন সিদ্ধান্ত আমাকে জানিয়ে নেননি। এমনকি আমাকে প্রজেক্ট কমিটির সভাপতি বানিয়ে কোন কিছু না জানিয়ে অন্য লোকদের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে কাজ করা হয়েছে। এখন বলছে প্রজেক্টের বিলে স্বাক্ষর দিতে, আমি যেহেতু কাজের ব্যাপারে কিছুই জানিনা কেন স্বাক্ষর দিবো।
তবে সবকিছু অস্বীকার করে বিদ্যালয়ের সভাপতি এম.কে নাজমুল হাসান নিঝুম বলেন, আমার বাবা এই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আমি সভাপতি হওয়ার পর থেকে এমন কোন কাজ করিনি যা কর্তৃপক্ষ জানেনা। সকলের সম্মতিক্রমে বিদ্যালয়ের চেয়ার টেবিল বানাতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১ লক্ষ টাকা সহায়তার পাশাপাশি বিদ্যালয়ের গাছ কর্তন করা হয়েছে। মূলত একটি মহল সবসময় বিদ্যালয়ের উন্নয়নকে রুখে দিতে এ ধরনের মিথ্যাচার করে আসছে।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলাউদ্দীন ভূঞা জনী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা অবশ্যই অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর যে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে গাছ কর্তন করতে হলে আগে অবশ্যই তা নিলামের মাধ্যমে গাছের প্রকৃত দাম নির্ধারণ করে নিতে হবে।