ফয়সাল মবিন পলাশঃ
কুমিল্লার মুরাদনগরে দিন-দুপুরে বাড়িতে ঢুকে সাংবাদিক শরিফুল আলম চৌধুরীর উপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় পালিয়ে থাকা দারোরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি নুরুজ্জামানসহ চার আসামী আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তাদেরকে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়।
গতকাল বুধবার দুপুরে কুমিল্লার নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক রফিকুল ইসলাম একজনকে এবং ৮নং আমলী আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সামছুর রহমান ৩জনকে কারাগারে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন। আসামীরা হলেন-কাজিয়াতল গ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে দারোরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি নুরুজ্জামান, আলী হোসেনের ছেলে নজরুল ইসলাম, রেনু মিয়ার ছেলে আল-আমিন ও মালেক মিয়ার ছেলে নাইম মিয়া। বিষয়টি নিশ্চিত করেন, বাদী পক্ষের সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ তানভীর আহমেদ ফয়সাল।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই দারোরা ইউনিয়নের কাজিয়াতল গ্রামের একদল সন্ত্রাসী দিন-দুপুরে একই গ্রামের সাংবাদিক শরিফুল আলম চৌধুরীর ঘরে ঢুকে টেনে হিছড়ে ওঠানে বের করে এনে কুপিয়ে, পিটিয়ে তার হাত-পা ভেঙে দেয়। তার কোমরসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় মামলা করেন সাংবাদিক শরিফের বাবা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন চৌধুরী।
সাংবাদিক শরিফুল আলম চৌধুরীর বাবা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন চৌধুরী কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার ছেলের দুই হাত ও দুই পায়ে এ পর্যন্ত ৭টি অপারেশন হয়েছে। দীর্ঘ ৫ মাস যাবত সে শয্যাসায়ী। শেষ বয়সে এই নাক্কারজনক ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখে যেতে চাই। ওই দিনের ঘটনা মনে হলে আমি এখনো ঘুম থেকে আতকে ওঠি।