- নিজস্ব প্রতিবেদক, মুরাদনগর:
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ২২ ইউনিয়নে প্রায় ১২০টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে তিন ফসলি জমির টপসয়েল কেটে নেওয়ায় দেখা দিয়েছে ফসল উৎপাদন হ্রাসের শঙ্কা। মাটি কাটা চক্রটির হাতে চলতি মৌসুমে বিনষ্ট হয়েছে প্রায় ৭শ বিঘা কৃষি জমি। আর প্রতিদিন ১০টি ট্রাক্টর ও ২৫টি ড্রামট্রাকে মাটি পরিবহনের কারণে নষ্ট হচ্ছে এলজিইডি’র সড়ক।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে এসব জমিতে বছরে মৌসুমে ধান, সরিষা, রসুন ও শীতকালীন সবজি ব্যাপকভাবে উৎপাদন হয়।
এদিকে ড্রেজার ও ভেকু মেশিনের কোপে ক্ষতবিক্ষত কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের কাগাতুয়া বিল।স্থানীয় মাটিকাটা চক্র ড্রেজার ও ভেকু মেশিন বসিয়ে বালু ও মাটি উত্তোলন করে বিক্রির মহোৎসবে মেতে উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার প্রায় ২২ ইউনিয়নের ৩০৫টি গ্রামের কোন না কোন স্থানে ড্রেজার ও ভেকু দিয়ে মাটি উত্তোলন করছে চক্রটি। মাইলের পর মাইল পাইপ সংযোগ দিয়ে কৃষি জমির মাটি কেটে উজাড় করা হচ্ছে। ভেকুতে জমির টপ সয়েল ও ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে তিন ফসলি জমিগুলো ৪০ থেকে ৫০ ফুট গভীর গর্ত করা হচ্ছে। এতে আশ-পাশের ফসলী জমি ভেঙ্গে তৈরি হচ্ছে জলাশয়।
বাবুটি পাড়া ইউনিয়নের কৃষক অহেদ মীর, জুনাব আলী মিয়া, কাজী অলিউল্লাহ জানান, গান্দ্রা ভূমি অফিসের অধীনে দৈয়ারা মৌজার মাইনকা বিলে একটানা দুই বছর কৃষি জমি থেকে মাটি উত্তোলন করছেন ড্রেজার ব্যবসায়ী কাজী রাকিব ও মোশাররফ। ওরা ৩০ শতক জায়গা ক্রয় করে ড্রেজিং শুরু করেন বর্তমানে ১২০ শতকে চলছে তাদের ড্রেজিং। আশেপাশের জমিগুলো ড্রেজিংয়ের গর্তে পড়ে যাওয়ায় কৃষকরা নাম মাত্র টাকায় জমি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলাউদ্দিন ভূইয়া জনি বলেন, ড্রেজার বন্ধে অভিযান চলছে। আগামী দুই মাস আরোও ব্যাপকভাবে অভিযান পরিচালনা করা হবে।