নাজিম উদ্দিন, নিজস্ব প্রতিনিধি:
কুমিল্লার মুরাদনগরে অবাদে বিক্রি হচ্ছে ভারত থেকে চোরাই পথে আসা অবৈধ মোবাইল ফোন সেট। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে আনঅফিসিয়াল সেট নামে পরিচিত এসব মোবাইল ফোন ক্রয় করে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা।
ভারতীয় সীমান্তর্বতী এলাকা হওয়ায় সহজেই অবৈধপথে এসব মোবাইল ফোন দেশে নিয়ে আসছে চোরাকারবারীরা। চোরাই পথে আসা এসব মোবাইল সেট বিক্রি করে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা লাভবান হলেও নামী—দামী কোম্পানীর এসব মোবাইল ফোন বিক্রিতে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। স্থানীয় প্রশাসন কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এসব মোবাইল সেট বিক্রির পরিমাণ দিনকে দিন বেড়েই চলেছে।
সরেজমিনে খোজ নিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সর্ববৃহৎ মোবাইল মার্কেট কোম্পানীগঞ্জ বাজারের গুটি কয়েক দোকানদার ছাড়া অধিকাংশ দোকান ও নামিদামি ব্রান্ডের শোরুমে অবাদে বিক্রি হচ্ছে আনঅফিসিয়াল নামে পরিচিত চোরাই পথে আসা এসব মোবাইল সেট।
এছাড়াও উপজেলার বাঙ্গরা বাজার, রামচন্দ্রপুর, বাখরাবাদ, ছালিয়াকান্দিসহ বিভিন্ন এলাকার বাজারের মোবাইল দোকান গুলোতে আনঅফিসিয়াল মোবাইল সেটের ছড়াছড়ি।
উপজেলার চাপিতলা থেকে কোম্পানীগঞ্জ বাজারে মোবাইল ফোন কিনতে আসা ইমরান হোসেন বলেন একই মডেলের মোবাইল সেট দামে প্রায় ১/২ হাজার টাকা ব্যাবধান। দোকানদার দাম কমের মোবাইল সেটটা আনঅফিসিয়াল নামে আমাদের কাছে বলে আর বলে যে এটার কোন প্রকার ওয়ারেন্টি নাই। কিন্তু এসব মোবাইল ফোন যে চোরাই পথে দেশে আনা হয় বা এটা অবৈধ সেট এব্যাপারে আমরা জানিনা। এছাড়া কোন দোকানদার এটা আমাদের বলেনা।
একই বক্তব্য উপজেলার ধামঘর থেকে মোবাইল সেট কিনতে আসা কলেজ ছাত্র পারভেজের। আনঅফিসিয়াল মোবাইল সেট মানে যে সেটি অবৈধ এব্যপারটাই আমরা জানি না।
কোম্পানীগঞ্জ বাজারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মোবাইল ব্যবসায়ী জানান প্রতি সপ্তাহে কুমিল্লা থেকে কয়েকজন লোক এসে এসব আনঅফিসিয়াল সেট গুলো দোকানে দোকানে পৌছে দিয়ে যায়।
এব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ টেলিকম ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি মনির হোসেন বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই। খেঁাজ নিয়ে বিষয়টির সত্যতা পেলে সমিতির নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সাদেকুর রহমান বলেন এসব চোরাই মোবাইল সেট বিক্রয়কারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিষেক দাশ বলেন উপজেলায় চোরাই পথে আসা মোবাইল ফোন বিক্রির বিষয়টি আজ প্রথম জানতে পারলাম। উর্ধতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।