ফয়সাল মবিন পলাশ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ নামিও সংগঠন যার রেজিস্ট্রেশন নং IV – 42 নাম্বার কে কাজে লাগিয়ে ফেইসবুকে নিজ আইডি থাকে প্রচারকারি শেখ শাহারুল ইসলাম সোস্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক মিথ্যা ও উদ্দেশ্যে মূলক ভাবে প্রচার করার তথ্য ফাঁস করলেন, নির্যাতিত নিপীড়িত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তান এবং ৩০% কোটা সহ ৭ দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনের একমাত্র উদ্যোক্তা নেতৃত্ব দানকারী বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সোলায়মান মিয়া।
চেয়ারম্যান সোলায়মান মিয়া সাংবাদিকদের জানান, উদ্দেশ্য মূলক প্রচারকৃত রেজিস্ট্রেশন নাম্বারটি আসলে কার তা তদন্ত করতে গিয়ে আমিও আমার সহ নেতৃবৃদ্ধরা বের করি আসল সত্য টি।
রেজিস্ট্রেশন নাম্বার টি হলো বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পূর্নবাসন সোসাইটির। যার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার lV-42। এই সোসাইটি ও নাম্বারের প্রকৃত মালিক বঙ্গবীর আলহাজ্ব এম এ ছামাদ সরকার।
এই রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার মুক্তিযোদ্ধার সন্তান শেখ শাহারুল ইসলাম বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ ও তার চেয়ারম্যান সোলায়মান মিয়া ও তার নেতৃত্বে করা আন্দোলনকে দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের মাঝে বিতর্কিত করা সহ চলমান সংঘবন্ধ আন্দোলনকে নষ্ট ও বিবর্তকিত ও কলংকিত করতে হুবহু “বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ” নামের সাথে এই রেজিস্ট্রেশন নাম্বারটি ব্যবহার করে নিরিহ অসহায় বর্তমান সংঘ বন্ধ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মাঝে ভাংগন তৈরি করার লক্ষ্যে শেখ শাহারুল ইসলাম তার নিজ ফেইসবুক আইডি থেকে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে আসছিল বলে জানান সোলায়মান মিয়া।
অন্য সংগঠনের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার VI-42 কে ব্যবহার করে অসৎ উদ্দেশ্যকে কাজে লাগিয়ে গত ২৪/০১/২০২১ইং তারিখ ময়মনসিংহ জেলা কমিটির একটি ভূয়া অনুমোদন দেয় এবং তার ফেইসবুক আইডি থেকে ভূয়া অনুমোদনটি পোস্ট ও করেন।
এই ষড়যন্ত্রকারী ধোকাবাজ সমন্ধে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের চেয়ারম্যান সোলায়মান মিয়া বলেন, শেখ শাহারুল ইসলাম আমাদের কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন, সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী কার্যকালাপের কারনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্যদের মতামতেই শেখ শাহারুল ইসলামকে তার পদ হইতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তারপর থেকেই শেখ শাহারুল ইসলাম কতিপয় মুক্তিযোদ্ধ বিরোধীদের সহযোগিতায় বিভিন্ন ভাবে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ ও আমাদের চালিয়ে যাওয়া আন্দোলন কে ক্ষতি গ্রস্ত করতে উঠে পরে লাগে।
শেখ শাহারুল ইসলাম এর ফেইসবুক আইডিতে বিভিন্ন সময়ে ষড়যন্ত্র মূলক পোস্ট দেওয়া আছে তার স্ক্রিন শর্ট আমাদের কাছে আছে ও ময়মনসিংহ জেলা কমিটির অনুমোদন কপি পোষ্টের কপিও আছে। ময়মনসিংহ জেলা কমিটির অনুমোদন ফরমের উপরের ফোন নাম্বার দেওয়া আছে তা দেখলেই বুঝা যায় ষড়যন্ত্রকারীকে। প্রমান হিসাবে আমার মনে হয় আর কিছুর প্রয়োজন নেই।
সুতরাং এই ধোকাবাজ ও ষড়যন্ত্র কারির হাত থেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে বাঁচানোর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্বরাষ্ট মন্ত্রী, মাননীয় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী সহ সকল প্রশাসন, মিডিয়া, বাংলার সকল বীর পরিবার,৭১ এর স্ব পক্ষের সৈনিক ও বাঙ্গালী জাতীর প্রতি দ্রুত এই ষড়যন্ত্র কারির বিচারের দাবি যানাচ্ছি।
এই ধোকাবাজ ষড়যন্ত্র করিদের উপযুক্ত বিচার সহ আইনি বেবস্হা গ্রহণের জোর দাবি যানাচ্ছি। আমার সাথে সাথে সকল মুক্তিযোদ্ধার পরিবার এই ষড়যন্ত্র কারি ও মুক্তিযোদ্ধা বিরুধীদার বিরুদ্ধে এখন সরকার ও প্রশাসন কি পদক্ষেপ নিবে তা দেখার অপেক্ষায় আছে।