যশোর জেলা প্রতিনিধি:
করোনা ভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করলেও মনিরামপুর উপজেলায় থেমে নেই বাল্যবিবাহ। এমত অবস্থায় প্রশাসন যখন উপজেলায় করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যস্ত এরই মধ্যে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় চলছে বাল্যবিবাহের হিড়িক। তবে উপজেলা প্রশাসন বাল্যবিবাহ রুখতে সদা তৎপরতা রয়েছে ৷
গতকাল মণিরামপুরে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ১৪ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ের আয়োজন করে পরিবারের লোকজন ৷ ওই ছাত্রীর বিয়ের কাজ সম্পাদনের জন্য নেহালপুরে কনের বাড়িতে আয়োজন চলছিল। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় আয়োজন বন্ধ করে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হাসান।
উপজেলা মহিলাবিষয়ক অফিসের ক্রেডিট সুপারভাইজার শহিদুল ইসলাম বলেন, মেয়েটি নেহালপুরের কালিবাড়ি এলাকার শাহিদা সুলতানা বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। করোনাকালীন লকডাউনের কারণে স্কুল বন্ধ থাকার সুযোগে মেয়েটির বাবা একই উপজেলার জুড়ানপুর গ্রামের জনৈক ইনামুল ইসলাম নামে এক যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক করেন। সন্ধ্যায় বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বিকেলে বরপক্ষ ওই বাড়িতে আসেন।
কিন্তু তার আগেই ইউএনও বিষয়টি জানতে পারেন। তার নির্দেশে বিকেলে আমি, স্থানীয় মেম্বার আজগার আলীসহ দুই চৌকিদার ওই বাড়িতে যাই। আমাদের দেখে বরপক্ষ পালিয়ে যায়। আমরা উপস্থিত থেকে বিয়ের আয়োজন বন্ধ করি। পরে ইউএনও স্যারের কাছে মুচলেকা দেন মেয়েটির বাবা।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, ‘নেহালপুরে ১৪-১৫ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রীর বিয়ের কার্যক্রম চলার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দেবেন না বলে মেয়েটির বাবা অঙ্গীকার করেছেন ৷ বাল্যবিয়ের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না আগামীতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে ৷