মোঃ ছিদ্দিক, ভোলা প্রতিনিধিঃ
পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দৌলতখানে দৈনিক বাংলার কন্ঠ ও দৌলতখান প্রেসক্লাবের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আহম্মেদ শফী সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছেন।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টায় দৌলতখান উপজেলার মধ্য জয়নগর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের শহিজল মেম্বারের বাড়ির সামনে রাস্তার ওপর সোহাগ শাহীন ও হারেছের নেতৃত্বে ওই বাড়ির ঝিলন, জামাল, ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা এই হামলা চালায়। এসময় ছিনিয়ে নেয়া হয় সাংবাদিকদের ক্যামেরা ও একটি ল্যাপটপ। এই হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে দৌলতখান প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাহীন সোহাগসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে দৌলতখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, দৈনিক বাংলার কন্ঠ ও দৌলতখান প্রেসক্লাবের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আহম্মেদ শফী শুক্রবার বিকালে মধ্য জয়নগর শহিজল মেম্বারের বাড়িতে থাকা সোহাগ শাহীন নামে এক লোক জাল সনদ ব্যবহার করে বাংলাবাজার হালিমা খাতুন মহিলা ডিগ্রী কলেজে চাকরি করছেন। এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতে তার বাড়িতে যান।
সাংবাদিক আসার খবর পেয়ে সোহাগ শাহীন ওই বাড়িতে থাকা কয়েকজনকে সাংবাদিককে মারধরের নির্দেশ দেন। এসময় সোহাগ শাহীন এ হারেছের মধ্যে অন্য আসামিরা সংঘবদ্ধভাবে হাতে লাঠিসোটা, রড, ছোরা নিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে সাংবাদিকের উপর হামলা চালায়।
এ সময় আসামিরা সাংবাদিক আহমেদ শফীকে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাথারি পিটিয়ে তার চোখে জখম করে। পরে সহকর্মীরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে দৌলতখান হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে দৌলতখান প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান শরীফ বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। সাংবাদিকদের ওপর এ বর্বর হামলা মেনে নেয়া যায় না। হামলার শিকার সাংবাদিককে নিয়ে প্রেসক্লাবে জরুরি বৈঠক হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে সাংবাদিকরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
সংবাদ কর্মীদের ওপর হামলার তিব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলার সকল সাংবাদিকগণ। দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান জানান, এ ঘটনায় সাংবাদিক আহম্মেদ শফী বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।