বিজ্ঞপ্তি:
"কুমিল্লা টাইমস টিভিতে" আপনার প্রতিষ্ঠান অথবা নির্বাচনী প্রচারনার জন্য এখনি যোগাযোগ করুন : ০১৬২২৩৮৮৫৪০ এই নম্বরে
শিরোনাম:
কুমিল্লার নবগঠিত মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের দোয়া ও ইফতার মাহফিল ফিলিস্তিনে ইসরাইলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে মুরাদনগরে হেফাজতের বিক্ষোভ যুব ও ক্রীড়া বিভাগ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বাঙ্গরায় ধর্ষকের মৃত্যুদন্ড জনসম্মুখে কার্যকরের দাবীতে বিক্ষোভ মাদ্রাসা ছাত্রদের ইফতার করালেন প্রবাসী আমিনুল মুরাদনগরে রাতের অন্ধকারে চলে মাটি কাটার মহোৎসব কায়কোবাদের পক্ষ থেকে শ্রীকাইলে যানবাহন শ্রমিক ও পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ বাহার কন্যা সূচির জমি-ফ্ল্যাটসহ ৩ কোটি টাকা অবরুদ্ধের আদেশ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শাহিদা রফিক আর নেই মুরাদনগরে বাবার হাতে শিশুপুত্র খুন নাঙ্গলকোটে প্রতিবাদ মিছিলে হামলা, আহত ১০ কুমিল্লায় রাতের আঁধারে ভেঙে ফেলা হলো শহীদ মিনার মুরাদনগরে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ মুরাদনগরে আ.লীগ ও যুবলীগের দুই নেতা প্রেপ্তার মুরাদনগরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস আজ

  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৪৯২ বার পড়া হয়েছে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস আজ

ডেস্ক রিপোর্টঃ

আজ ৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাঞ্চলীয় জোনের প্রধান জহুর আহমেদ চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পুরাতন কাচারী ভবন সংলগ্ন তৎকালীন মহকুমা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষকরা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে শত্রুমুক্ত করতে ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে জেলার আখাউড়া সীমান্ত এলাকায় মিত্রবাহিনী পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর বেপরোয়া আক্রমণ চালাতে থাকে। পরে ১ ডিসেম্বর আখাউড়া সীমান্ত এলাকায় যুদ্ধে ২০ হানাদার নিহত হয়। ৩ ডিসেম্বর আখাউড়ার আজমপুরে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। সেখানে ১১ হানাদার নিহত হয়। শহীদ হন ৩ মুক্তিযোদ্ধা। এরই মাঝে বিজয়নগর উপজেলার মেরাশানী, সিঙ্গারবিল, মুকুন্দপুর, হরষপুর, আখাউড়া উপজেলার আজমপুর, রাজাপুর এলাকা মুক্তিবাহিনীর দখলে চলে আসে।

৪ ডিসেম্বর হানাদাররা পিছু হটতে থাকলে আখাউড়া অনেকটাই শত্রুমুক্ত হয়ে পড়ে। ৬ ডিসেম্বর আখাউড়া সম্পূর্ণভাবে হানাদার মুক্ত হয়। এরপর থেকে চলতে থাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত করার প্রস্তুতি। শহরের চতুর্দিকে মুক্তিবাহিনী অবস্থান নিতে থাকায় পাকিস্তানি সেনারা পালিয়ে যাওয়ার সময় ৬ ডিসেম্বরে রাজাকারদের সহায়তায় অর্ধশত বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ মানুষকে চোখ বেঁধে শহরের কুরুলিয়া খালের পাড়ে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। ৭ ডিসেম্বর রাতের আধারে পাকিস্তানি বাহিনীর সদস্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ছেড়ে আশুগঞ্জের দিকে পালাতে থাকে।

৮ ডিসেম্বর কোনও ধরনের প্রতিরোধ ছাড়াই ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে বিজয়ের বেশে প্রবেশ করে স্বাধীনতার বিজয় পতাকা উত্তোলন করে। এরই মধ্যে শত্রু মুক্ত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর। একই দিন সন্ধ্যায় জেলার সরাইল উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুক্তিযোদ্ধ গবেষক ও কবি জয়দুল হোসেন জানান, ৭ ডিসেম্বর আখাউড়াতে পরাজিত হওয়ার পর সন্ধ্যার মধ্যে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ছেড়ে আশুগঞ্জে চলে যায়। ৮ ডিসেম্বর সকালে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী যৌথভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শহরে পৌঁছে যায়।

কোনও ধরনের প্রতিরোধ ছাড়াই ৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত হয়। যারা প্রাণের ভয়ে শহর ছেড়ে দিয়েছিলেন তারা সেদিন শহরের রাস্তায় নেমে যায় এবং জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে তাদেরকে অভিনন্দন জানায়।


কুমিল্লা টাইমস’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।


সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

বিজ্ঞাপন

সকল স্বত্বঃ কুমিল্লা টাইমস কতৃক সংরক্ষিত

Site Customized By NewsTech.Com