কুবি প্রতিনিধিঃ
দুপুরে গড়িয়ে যখন বিকেলে স্নিগ্ধ রোদ বিদায় নিতে শুরু করে ঠিক তখনই যেন কুবিতে দেখতে পাওয়া যায় নতুন সূর্যের আভা।ফাগুনের আবহে যেন উৎসবের আনন্দে মিলিয়ে গেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার অঙ্গন।
পহেলা ফাল্গুন এবং বিশ্ব ভালবাসা দিবস উপলক্ষে বিকেল থেকেই মানুষের পদচারণে ভিন্ন সাঁজে সাজতে শুরু করে কুবি ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের প্রধান ফটক থেকে শুরু করে গোলচত্ত্বর,মুক্তমঞ্ছ, শহীদ মিনার পর্যন্ত ছিল তাদের দখলে।
২৬৯ খ্রিস্টাব্দে ভালোবাসার জন্য মৃত্যুকেও আপন করে নিয়েছিলেম সেন্ট ভ্যালেন্টাইন।রোম সম্রাটের কতৃক বন্দী সহযোগীর মেয়েকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তুলেন। এতে তার জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকলে সম্রাট ক্ষিপ্ত হয়ে ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।সেই দিনটি ছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি।
আবার অনেকে বলেন, ২৬৯ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি খ্রিস্টানবিরোধী রোমান সম্রাট গথিকাস আহত সেনাদের চিকিৎসার অপরাধে খ্রিস্টান পাদ্রি ও চিকিৎসক ফাদার সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে। ফাদার ভ্যালেন্টাইন মৃত্যুর আগে তাঁর আদরের একমাত্র মেয়েকে একটি চিঠি লেখেন। আর সেখানে ‘ফ্রম ইওর ভ্যালেন্টাইন’ নামে স্বাক্ষর করেন।
যুদ্ধে আহত মানুষকে সেবা করার জন্য মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের এ আত্মত্যাগই প্রমাণ করে যে,ভালোবাসার কাছে সকল আয়োজনই তুচ্ছ। সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর মেয়ে ও তার প্রেমিক মিলে পরের বছর থেকে বাবার মৃত্যুর দিনটিকে ভ্যালেন্টাইন’স ডে হিসেবে পালন করা শুরু করেন। তবে এই মত নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এই মত নিয়ে বিতর্ক থাকলেও ভালবাসায় থাকে না কোন বিতর্ক। ভালবাসা চলে তার নিজ উদ্যোমে।
প্রায় ১ বছর পর আবার যখন ক্যাম্পাসে প্রিয় মানুষের সাথে দেখা তখন বাঁধভাঙা উল্লাসের চিত্রতেও ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ দেখতে পাওয়া যায়।করোনার মহামারীর জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন আবার প্রাণের স্পন্দন ফিরে এসেছিল তখন মনে হয়েছিল আজকের কুবি যেন এক ঝাঁক নতুন ঘর বাঁধা পাখির বাসা। আর সেখানে আছে হাজারো জমে থাকা আবেগ এবং ভালবাসা।