টাংগাইল প্রতিনিধিঃ
তিনি একজন সাংসদ, তিনি আহসানুল ইসলাম টিটু, টাংগাইল ৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) এর সংসদ সদস্য তিনি, মাত্র তিন মাস আগে গত মে মাসের ২৪ তারিখ তিনি তার পিতাকে হারিয়েছেন এই করোনা মহামারীতেই, তার পিতা আলহাজ্ব মকবুল হোসেন ছিলেন ধানমন্ডি-মোহাম্মদপুরের সাবেক সংসদ সদস্য, করোনার মধ্যে তিনি ত্রাণ নিয়ে ছুটে বেড়িয়েছেন মানুষের দরজায় দরজায়, কিন্তু এই মরণব্যাধী করোনাই উনার প্রান কেড়ে নিয়েছেন ।
পিতার মৃত্যুর শোক বুকে নিয়েই তিনি ছুটে এসেছেন তার নির্বাচনী এলাকা টাংগাইলের নাগরপুর ও দেলদুয়ারের বন্যার্ত মানুষের কাছে, ঈদের আগে টানা ৮ দিন বানভাসী মানুষের পাশে থেকে তাদের সাহ্যায্য করে গেছেন ।
বন্যার্তদের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণের সময় আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, নাগরপুর-দেলদুয়ারের প্রতিটি বন্যার্ত পরিবারকে ত্রাণের আওতায় আনা হবে। বন্যার্ত কোন পরিবারই অভুক্ত থাকবে না। তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশে প্রায়শই প্রাকৃতিক দূর্যোগ দেখা দেয়। আর এই দূর্যোগকে মোকাবিলা করেই এ দেশের মানুষ বেচেঁ থাকে। সকল দূর্যোগে যিনি সর্বদা অসহায় মানুষের পাশে থাকেন তিনি আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর সফল নেতৃত্বের ফলেই আমরা সকল দূর্যোগ কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি। এবারও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুঃখ-দূর্দশা লাঘবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার।
ইতিমধ্যে নাগরপুর ও দেলদুয়ার উপজেলার ২০ টি ইউনিয়নের বন্যার্ত মানুষের মাঝে ১৬০ মেট্রিক টন চালের সাথে শুকনো খাবার হিসেবে চিঁড়া, বিস্কুট, ডান, তেল ইত্যাদি এবং শিশু খাদ্য হিসেবে গুড়ো দুধ, সুজি, চিনি ও নুডলস বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া নতুন করে দুই উপজেলার বন্যার্ত মানুষের জন্য ১০০ মেট্রিক টন চাল, ২ লাখ টাকার শিশুখাদ্য ও ২ লাখ টাকার গোখাদ্য বরাদ্দ হয়েছে এবং ঈদুল আযহা’র আগে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় আমরা নাগরপুর উপজেলার ১৬ হাজার এবং দেলদুয়ার উপজেলার ১৩ হাজার অসহায় পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করেছি।
যারা এখনও খাদ্য সহায়তা পাননি তারাও দ্রুত ত্রাণের আওতায় চলে আসবেন। আপনারা ধৈর্য্য ধরে এ দূযোর্গকে মোকাবেলা করুন আমরা আপনাদের পাশে আছি, ইনশাআল্লাহ।