ডেস্ক রিপোর্টঃ
বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা অফিসারদের ফরেন সার্ভিস এবং একটা করে প্রমোশন উপহার দেন জিয়াউর রহমান।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে জিয়াউর রহমানের পূর্ণ সমর্থন ছিলো বলে জানিয়েছেন সাজাপ্রাপ্ত খুনি অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মাজেদ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সাক্ষাতকারে দেখা যায় বিষয়টির বিশদ বর্ণনা দিয়েছেন খুনি মাজেদ।
এ বছর এপ্রিলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মাজেদ এর ফাঁসির রায় কার্যকর হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া দীর্ঘ সাক্ষাতকারে মাজেদ বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের পর জিয়াউর রহমানের কী ভূমিকা ছিল তা বর্ণনা করেন।
বঙ্গবন্ধুর খুনি ক্যাপ্টেন মাজেদ বলেন, ৭৫’ এর ১৫ই আগস্ট জিয়াউওর রহমান সকাল ১০ টা ১১ টার দিকে ক্যান্টনমেন্ট অডিটোরিয়ামে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের জোয়ান এবং অফিসারদের আসতে বলেন। সেখানে তিনি তাদের মোটিভেট করেন গতরাতে যে ঘটনা ঘটে গেছে তা নিয়ে মাথা ঘামাবে না। সবাই চেইন অফ কমান্ডে ফিরে যাও। সবাই কাজকর্ম করো। এটি জাতির ব্যাপার আমাদের না।
সেসময় বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পুরষ্কার স্বরূপ বিদেশের কূটনীতিক মিশনে চাকরি দেয়ার ক্ষেত্রে তার প্রত্যক্ষ মদদ ছিল বলে জানান এই খুনী।
বঙ্গবন্ধুর খুনী ক্যাপ্টেন মাজেদ বলেন, এখানে বঙ্গভবনের যে সমস্ত অফিসাররা আছে তারা সবাই বিদেশে যাবে, সেখানে তাদের কাগজপত্র তৈরি করতে মিলিটারি সেক্রেটারি ব্রিগেডিয়ার মাশরুর হক তাকে নির্দেশ দিয়েছে। যেহেতু আমরা বঙ্গভবনে ডিউটি ছিলাম, আমাদেরকেও ব্যাংককে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। সেখান থেকে আমাদেরকে লিবিয়ায় আশ্রয়ের জন্য বন্দোবস্ত করা হয়েছে। আমাদেরকে উপহার হিসেবে সবাইকে ফরেন সার্ভিস এবং একটা করে প্রমোশনও দিয়ে দিবেন। জিয়াউর রহমানের সরাসরি মদদ ছিল।
সেসময় যত ধরনের অনিয়ম করা যায় সবই করা হয়েছে ।