বিজ্ঞপ্তি:
"কুমিল্লা টাইমস টিভিতে" আপনার প্রতিষ্ঠান অথবা নির্বাচনী প্রচারনার জন্য এখনি যোগাযোগ করুন : ০১৬২২৩৮৮৫৪০ এই নম্বরে
শিরোনাম:
“অপারেশন ডেভিল হান্ট” মুরাদনগরে যুবলীগের সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত বাবু গ্রেপ্তার নূরুন্নাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ মুরাদনগরে অবৈধ ইটভাটাকে ৩লক্ষ টাকা জরিমানা, কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা ব্যঙ্গ করে নাম ডাকায় হোমনায় কিশোরের ছুরিকাঘাতে কিশোর খুন কুমিল্লায় আইনজীবী সমিতিতে আ’লীগের দুই নেতা, বিক্ষুব্ধ আইনজীবীরা মুরাদনগরে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন সফল করতে স্বাগত মিছিল মুরাদনগরে অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিল প্রশাসন জামায়াতের কর্মী সম্মেলন নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কায়কোবাদ দাদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার, নাগরিক সমাজের প্রতিবাদ ও অবস্থান কর্মসূচী পালন ঘোড়াশাল ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে গৌরীপুর একাডেমি চ্যাম্পিয়ন মুরাদনগর ভূতাইলে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন ঘোড়াশাল অনির্বাণ স্পোর্টিং ক্লাব মুরাদনগর ছাত্রকল্যাণ পরিষদ কুবি’র নবীন বরণ ও মিলন মেলা মুরাদনগরে পিৎজা গ্যালারির উদ্ধোধন বাঞ্ছারামপুরে কোরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত মুরাদনগরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ

ফেল করার পরও প্রার্থী নিয়োগ; কুবি প্রশাসন

  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২০
  • ৮৭৭ বার পড়া হয়েছে
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় - Comilla University
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় - Comilla University

ডেস্ক রিপোর্টঃ

নীতিমালার আশীর্বাদে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে কর্মকর্তা হওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষায় ফেল করার পরও এক প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্থানীয় এক প্রভাবশালীর প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে এ লঙ্কাকাণ্ড ঘটিয়েছে। বিষয়টি ভিসি স্বীকার করলেও এক পদে ফেল করায় অন্য পদে দিয়েছেন বলে গোঁজামিল দিয়ে দায় এড়িয়ে যান। এদিকে নিয়োগে এতবড় অসঙ্গতির বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৯ মার্চ কম্পিউটার অপারেটর, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার টাইপিস্ট পদে নিয়োগপ্রত্যাশীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হয় ১১ এবং ১৫ মার্চ। এরপর গত ১৮ অক্টোবর এই তিন পদে চূড়ান্ত নিয়োগপ্রাপ্তদের নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগ চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকেই এ নিয়োগের নানা অসঙ্গতি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

এর মধ্যে অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার টাইপিস্ট পদে ৫ নম্বর রোলধারী প্রার্থী নিয়োগের জন্য অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় ফেল করলেও প্রকাশিত ফলাফলে তাকে পাস দেখিয়ে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে নিয়োগ কার্যক্রম সংক্রান্ত এক সদস্য বিষয়টি স্বীকার করেন।

অন্য আরেক সূত্র জানায়, শুধু একজন না এমন আরও চারজন ফেল করার পরও তাদের নিয়োগ দেয়া হয়। এদিকে তাকে যে পদে দেয়া হয়েছে সে পদে ওই প্রার্থী আবেদনই করেননি বলে জানা যায়।

এছাড়াও ফেল করার বিষয়টি ভিসি স্বীকার করলেও প্রকাশিত ফলাফলের তালিকায় তাকে পাস দেখানো হয়েছে। পাস করা প্রার্থী থাকার পরও ফেল করা প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়ায় অন্য প্রার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে কর্মচারী নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পরীক্ষায় ফেল করার পরও প্রার্থীকে উত্তীর্ণ দেখিয়ে চূড়ান্ত নিয়োগ প্রদানের ঘটনায় সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নষ্ট হয়েছে। এ নিয়োগ সংক্রান্ত সব তথ্য প্রকাশ করে যেসব প্রার্থীকে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদের নিয়োগ বাতিল করতে হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষক বলেন, এ কাজের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেজ ক্ষুণ্ন হয়েছে, এটি একটি গর্হিত অপরাধ। এ অসঙ্গতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর মানুষ আস্থা হারাবে। যারা এ ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। এছাড়াও এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অভ্যন্তরীণ প্রার্থীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের।

তাদের দাবি, বেশ কয়েকজন কর্মচারী যথাযথ অনুমোদন নিয়ে এ নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদন করে ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষায়ও অংশগ্রহণ করে। কিন্তু চূড়ান্ত পরীক্ষায় অধিকাংশ অভ্যন্তরীণ প্রার্থীদের বাদ দেয়া হয়। আর যে কয়েকজনকে দেয়া হয় তাদের ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা অনুসরণ না করে অপেক্ষাকৃত কনিষ্ঠ প্রার্থীকে নিয়োগ প্রদান করে জ্যেষ্ঠ প্রার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতি ভিসির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে।

ব্যবহারিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলেও ফলাফলে পাস দেখিয়ে চূড়ান্ত নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সচিব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. আবু তাহের বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী ফেল করার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ওই প্রার্থী অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার টাইপিস্টের ব্যবহারিক পরীক্ষায় ফেল করায় কম্পিউটার টাইপিস্টের যোগ্যতা নেই বলে তাকে অফিস সহায়ক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আর অভ্যন্তরীণ আপগ্রেডেড যে পদ ওটাও স্থায়ী এবং একই পদ। যদি শূন্যপদে অভ্যন্তরীণ লোকদের নিয়োগ দেই তাহলে নতুন লোক নিয়োগ দিতে পারতাম না। সংবাদঃ আজকের কুমিল্লা


কুমিল্লা টাইমস’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।


সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

বিজ্ঞাপন

সকল স্বত্বঃ কুমিল্লা টাইমস কতৃক সংরক্ষিত

Site Customized By NewsTech.Com