ডেস্ক নিউজঃ
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়- কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নে নুরুল আলম (৭২) নামে এক প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতাকে প্রকাশ্যে বিবস্ত্র করে তাকে মারধর করছেন কয়েকজন যুবক।
এ ঘটনার নেতৃত্ব দেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা আনছুর আলম। মারধরের ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায়, ভিডিওটি নজরে এসেছে স্থানীয় এমপি জাফর আলম, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্টদের। এর পরই ঘটনায় জড়িত যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে।
জানা গেছে, গত ২৪ মে উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের তেচ্ছাপাড়া সংলগ্ন সড়কের পাশে বিলের মধ্যে প্রবীণ এই আওয়ামীলীগ নেতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। তিনি উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের ছয়কুড়িটিক্কা পাড়ার মৃত আলী মিয়ার ছেলে এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের একজন প্রবীণ সদস্য। ঘটনায় জড়িত যুবলীগ নেতার নাম আনছুর আলম (৩৫)। তিনি একই ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি এবং মৃত মনির উল্লাহর ছেলে।
নুরুল আলমের ছেলে আশরাফ হোসাইন এ ঘটনায় বাদী হয়ে চকরিয়া থানা একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহার আমলে নিয়ে ঘটনার তদন্ত করছে থালিনা পুলিশ। ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য (মেম্বার) আরেজ খাতুন ও প্রভাবশালী বদিউল আলমের ইন্ধনে তার বাবা নুরুল আলমকে প্রকাশ্যে ইজিবাইক থেকে জোর করে নামিয়ে বিলের মধ্যে নিয়ে গিয়ে বিবস্ত্র করাসহ ব্যাপক মারধর করে যুবলীগ নেতা আনছুর রহমান।
ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম বলেন, প্রবীন এই আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি বর্বরতা। ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, একজন বাবার বয়সী ব্যক্তিকে বিবস্ত্র করাসহ মারধরের ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে। আশা করছি, সহসাই তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।